আর্নে স্স্নট যেন লিভারপুলের সবকিছুই বদলে দিচ্ছেন। একের পর এক রেকর্ড করেই চলেছেন তিনি। অ্যানফিল্ডে বসে লিখছেন নতুন ইতিহাস। লিভারপুলের অতি জনপ্রিয় ও প্রায় ৯ বছরের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের ছায়াও যেন খুব দ্রম্নতই মুছে ফেলতে যাচ্ছেন নেদারল্যান্ডের এই কোচ। বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরবি লিপজিগকে ১-০ গোলে হারিয়ে নতুন রেকর্ড করেছে লিভারপুল। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৬টি অ্যাওয়ে ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে অলরেডরা। ১৩২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ঘরের বাইরে কোনো মৌসুমের প্রথম ৬ ম্যাচে হার কিংবা ড্র করেনি লিভারপুল।
অপরদিকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় ম্যাচে আরেকটি বড় জয় পেল ম্যানচেস্টার সিটি। বুধবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৫-০ গোলে তারা উড়িয়ে দিল স্পার্তা প্রাগকে। তবে এই ম্যাচে আলো কাড়লেন আর্লিং হাল্যান্ড। ম্যানসিটির গোলমেশিন এক অবিশ্বাস্য গোল করে প্রশংসায় ভাসছেন। এদিনের ম্যাচে দুটি গোল করেছেন হাল্যান্ড। তবে প্রথমটি তাকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে সাভিনহোর ক্রস বেশ উঁচুতে ছিল। শূন্যে লাফ দিলেন হাল্যান্ড। গোলমুখের বিপরীত দিকে ঘুরে থাকলেও বাতাসে ভেসে থাকতেই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার গোড়ালের পেছন দিয়ে জালে বল ঠেলে দেন। ইতিহাদের দর্শকদের চোখ বিস্ময়ে ছানাবড়া। এ দিনের এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমে এখনো অপরাজিত ম্যানসিটি। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে পেপ
গার্দিওলার দল।
আর্লিং হালান্ডের অতিমানব হওয়ার দিনে স্পার্টা প্রাগের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতেছে ম্যানসিটি। ১০ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করেন হালান্ড (৫৮ ও ৬৮ মিনিটে)। দুটি গোলই লাফিয়ে উঠে গোড়ালি দিয়ে করেছেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। দুর্লভ এই গোল করে অতিমানব বনে গেছেন হালান্ড। 'আমি জানি না সে কীভাবে গোল করে। কোনো মানুষ এটি করেছে, এমনটা বলব না।' ম্যাচ শেষে আরলিং হালান্ডের গোলকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা।