দেশের ফুটবলে ঘনিয়ে আসছে নির্বাচন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন আগামী ২৬ অক্টোবর। এর আগে সোমবার বাফুফে ভবন পরিদর্শন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের এখন বেহাল অবস্থা। মাঠে নেই খেলা। দর্শকও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কেউ আগ্রহী হচ্ছে না বিনিয়োগে। সবকিছুর জন্য বাফুফের দায় দেখছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, দেশের ফুটবলের অবনতির দায় আসলে ফেডারেশনেরই।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশে এখনও প্রান্তিক পর্যায়ে ফুটবল জনপ্রিয়। বয়সভিত্তিক দলের খেলোয়াড়রাও ভালো করছেন। কিন্তু বড় পর্যায়ে সাফল্য নেই। এতে আসলে দোষটা ফুটবল ফেডারেশনেরই। এখানে বিনিয়োগও হয় না। কারণ, বিনিয়োগকারীদের কষ্টের টাকা তারা সেখানে দিতে চাইবেন, যেখান থেকে কিছু পাবেন। এমনও শুনেছি কোনো টাকা আসলে আগেই ৩০ পার্সেন্ট ভাগ হয়ে যেত।'
তবে ফুটবলের সংস্কারে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চটুকু করা হবে বলে জানান আসিফ মাহমুদ। প্রয়োজনে ফিফার সঙ্গেও বসার কথা জানান। বিভিন্ন জেলায় পাঁচটি মাঠের সংস্কার এবং চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামকে সংস্কার করে ফুটবলের জন্য উন্মুক্ত করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশের মানুষ ভীষণ ক্রীড়াপ্রেমী। ক্রিকেট ও ফুটবল তো আছেই, এর বাইরে আরও বেশকিছু জনপ্রিয় খেলা আছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য আছে আর্চারি, ভারোত্তোলনের মতো খেলার। এসব সাফল্য পরবর্তীতে ধরে রাখা যায়নি। ক্রিকেটের বাইরে নিয়মিত খেলাও তেমন আয়োজন করে না অন্যান্য ক্রীড়া সংগঠনগুলো।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এমন বেহাল দশায় হতবাক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমি মাঝেমধ্যে ভাবি কীভাবে বাংলাদেশের স্পোর্টস বেঁচে আছে!' আসিফ মাহমুদ বলেন, 'দেশের প্রায় সবগুলো ফেডারেশনে দীর্ঘদিন একটা হীন অবস্থা করেছে। একটা ফেডারেশনে তো শুনলাম ৪০ বছর ধরে একজন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে বসে আছেন। সেখানে যদি উন্নতি হতো একটা কথা ছিল। আমি মাঝেমধ্যে ভাবি কীভাবে বাংলাদেশের স্পোর্টস বেঁচে আছে। এটা সম্ভব হয়েছে স্পোর্টসের প্রতি এ দেশের মানুষের আগ্রহের জায়গা থেকে।'