ম্যাচের শুরু থেকেই আর্সেনালের পারফরম্যান্সে তেমন ধার ছিল না। প্রথমার্ধে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিল বোর্নমাউথ। প্রতিপক্ষ বোর্নমাউথের বিপক্ষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছে আর্সেনালে। রায়ান ক্রিস্টি স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান জাস্টিন ক্লাইভার্ট।
এবারের লিগে তো বটেই, চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়েই আর্সেনালের এটা প্রথম হার। আর্সেনালের পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই সাদামাটা। আক্রমণে একটুও ভীতি ছড়াতে পারেনি তারা, প্রথমার্ধে লক্ষ্যে নিতে পারেনি কোনো শট। দ্বিতীয়ার্ধে লক্ষে একমাত্র শটটি নিলেও, তা ছিল না যথেষ্ট ভয়ঙ্কর। ৩০তম মিনিটে একজনকে হারিয়ে আরও ব্যাকফুটে চলে যায় আর্সেনাল। প্রতিপক্ষের প্রতি-আক্রমণ আটকাতে গিয়ে মাঝমাঠে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এভানিলসনকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন দলটির ডিফেন্ডার উইলিয়াম সালিবা। এরপর আক্রমণে চাপ বাড়ায় বোর্নমাউথ। ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার খুব কাছাকাছি যায় দলটি; তবে ঘানার ফরোয়ার্ড এন্টোয়ান সেমেনিওর দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৭০তম মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেনি আর্সেনাল। কর্নারের ফলশ্রম্নতিতে বক্সে সতীর্থের ব্যাকপাস ফাঁকায় পেয়ে জোরাল শটে গোলটি করেন স্কটিশ মিডফিল্ডার ক্রিস্টি। সাত মিনিট পর আরও পিছিয়ে পড়ে আশা অনেকটাই শেষ হয়ে যায় আর্সেনালের। বক্সে এভানিলসনকে গোলরক্ষক দাভিদ রায়া ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্লাইভার্ট। এখানে জিতলে শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল আর্সেনালের। উল্টো এখন আরও পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় তারা। আট ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে দলটি। তাদের ওপরে ম্যানচেস্টার সিটি ও নিচে অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্টও সমান ১৭। সিটি একটি ম্যাচ কম খেলেছে। ম্যানসিটির সমান সাত ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল।