কোচ সিমন্সকে একই ফ্লাইটে পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন প্রিন্স

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স -ওয়েবসাইট
টেস্ট সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশে আসার পথে যাত্রাবিরতি ছিল দুবাইতে। সেখানে আচমকা হাজির ফিল সিমন্স। একই ফ্লাইটে তিনিও বাংলাদেশের বিমান ধরছেন দেখে চমকে যান দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। যিনি নিজেও এক সময় ছিলেন বাংলাদেশের দায়িত্বে। ফিল সিমন্সের কাছ থেকেই প্রিন্স জানতে পারেন, এই সিরিজের আগে কোচ বদল হয়ে গেছে বাংলাদেশের। প্রধান কোচ হিসেবে সিমন্সই যাচ্ছেন বাংলাদেশে। অসদাচরণের দায়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে চাকরিচু্যত করে সিমন্সকে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ। দায়িত্ব নিয়ে শুক্রবার থেকে অনুশীলন করাচ্ছেন সিমন্স। শনিবার সংবাদ সম্মেলনেও আসেন তিনি। এদিকে বাংলাদেশের সাবেক ব্যাটিং কোচ প্রিন্স জানান, কোন এক সিরিজের ঠিক আগে এভাবে কোচ বদল আদর্শ না, কিন্তু সেটাই হয়েছে বাংলাদেশে, 'আমি সিমন্সকে দুবাইতে দেখে চমকে গিয়েছিলাম। আমি নিশ্চিত ছিলাম না সেও বাংলাদেশে যাচ্ছে কিনা। পরে দেখলাম সেও যাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে একই ফ্লাইটে এলো সে। তাকে দেখে ভালো লাগলো। হঁ্যা, একটা সিরিজের আগে ঠিক কোচ বদল হয়ত আদর্শ নয়। কোন পরিস্থিতিতে তাদের আগের কোচ পদ হারিয়েছেন। এটাই বলব।' শুধু হাথুরুসিংহে না। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে সাকিব আল হাসানকে নিয়েও নাটকীয়তা হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। মিরপুরে সাকিব শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন, তাকে দলেও রাখা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই পর্যন্ত আসার পর বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে তাকে আসতে বারণ করা হয়। সাকিবের না থাকা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা হলেও প্রিন্স জানান এটা দলটির জন্য নতুন কিছু নয়, 'এটা দুই দলের জন্যই বড় সিরিজ। সাকিব খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। অনেকটা জ্যাক ক্যালিস আমাদের জন্য যা ছিলো তেমন। ব্যাটিং-বোলিং মিলিয়ে এমন একজন পাওয়া কঠিন। তাদের আরেকজন ভালো বাঁহাতি স্পিনার আছে তাইজুল, সম্ভবত সে খেলবে। সেদিক থেকে তাদের একটা দিক পূরণ হবে। হয়ত আরেকজন ব্যাটার দিয়ে জায়গাটা তারা পূরণ করবে। সাকিবকে নিয়ে এরকম অনিশ্চয়তা এবারই প্রথম নয়। এটা নতুন কিছু নয় ওদের জন্য।' ২০২১ সালে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হিসেবে যোগ গিয়েছিলেন প্রিন্স। কিন্তু তাকে দায়িত্বে রেখেই পুরনো কোচ জেমি সিডন্সকে একই পদে নিয়োগ দিয়ে জটিলতা তৈরি করে বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের চাকরি ছেড়ে যান প্রিন্স।