ইমার্জিং এশিয়া কাপে শুরুটা দারুণ করেছে বাংলাদেশ 'এ' দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে হারিয়েছে আকবর আলীরা। এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং অধিনায়ক নিজেই। তার ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে হংকং। জবাব দিতে নেমে শুরুতে চাপে পড়লেও আকবর আলীর ব্যাটে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আকবর। এই জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে 'এ' গ্রম্নপের টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে দ্রম্নত ২ উইকেট হারিয়ে বসে হংকং। এরপর হাল ধরেন নিজাকাত খান এবং বাবর হায়াত। পাওয়ারপেস্নর ৬ ওভার শেষে জোড়া উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তোলে হংকং। নিজাত বিদায় নেন দলীয় ৭৪ রানের মাথায়, ২০ বলে ২৫ রান করে।
বাবর ফিফটি হাঁকিয়ে ছুটছিলেন দুর্দান্ত গতিতে। তবে তাকেও দলীয় ১৩০ রানের মাথায় থামতে হয়। ৬১ বলে ৮৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন বাবর। শেষ দিকে
৫ বলে ১৩ রানের ক্যামিও
ইনিংস খেলে অপরাজিত
থাকেন এহসান খান।
বাংলাদেশের হয়ে ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন রিপন মন্ডল। ১টি করে উইকেট নেন রাকিবুল হাসান, রেজাউর রহমান রাজা, আবু হায়দার রনি এবং মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
জবাব দিতে নেমে ১১ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিসান আলম। পাওয়ারপেস্ন থেকে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। জিসানের বিদায়ের পর পারভেজ হোসেন ইমন বিদায় নেন ২৬ বলে ২৮ রান করে। ৫৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেটা হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি বাঁধেন আকবর। তবে ধীরগতির ব্যাটিংয়ের ফলে দলের উপর চাপ বাড়তে থাকে। সেই চাপ আকবর উড়িয়ে দেন ১২তম ওভারে। এক ওভারেই তুলে নেন ২১ রান। ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় সেখানেই।
এরপর হৃদয় ২২ বলে ২৯ রান করে বিদায় নেন। আকবর দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে আউট হন দলীয় ১২৯ রানের মাথায়। বাকি কাজটা বেশ সহজেই সেরেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী এবং মাহফুজুর রহমান রাব্বি। দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ১০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ১৯ বলে ১৫ রান করেন শামীম। ৮ বলে ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাব্বি। হংকং এর হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন এহসান খান।