সভাপতি থেকে কেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী তরফদার?

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
তরফদার রুহুল আমিন
সবার আগে সংবাদ সম্মেলন করে বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। এরপর জল অনেক ঘোলা হয়েছে। সভাপতি পদে নির্বাচন না করে এক ধাপ নিচে নেমে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের কর্ণধার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। দুইজনেই নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ইমরুল আগের দিনই জমা দিয়েছিলেন। শেষ দিনে দিয়েছেন তরফদার। দুইজনেই প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজের কাজ সম্পন্ন করেছেন। তবে তরফদার সভাপতি পদ ছেড়ে কেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন, তা বলতে চাননি। কেনই বা তার একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত!  ২০২০ সালে  চাপের মুখে বাফুফের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে পারেননি বলে দাবি তরফদারের। কিন্তু এবার কোনো সরকারি চাপ নেই বলে নিজেই জানিয়েছেন। তাহলে চাপ না থাকলে ঘোষণা দিয়েও সভাপতি পদে প্রার্থী না হওয়ার পেছনে কারণ কী? এ বিষয়ে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার  করে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, 'গত নির্বাচনে আমার ওপর চাপ ছিল। এমনকি নির্বাচনের মাঠেও থাকতে পারিনি। এবার তেমন কোনো বিষয় নেই। চাপও নেই। এবার আমরা তাবিথের সঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে তাকে সভাপতি পদে সমর্থন দিয়েছি। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে তিনি আমাকে সমর্থন দেবেন বলে আশা করছি। ফুটবলের স্বার্থে কে বাফুফের ভেতর বা বাইরে থাকবে, সেটা বড় ব্যাপার নয়। আসল হলো কাজ। আমরা একটা শক্তিশালী কমিটি দেখতে চাই। এ কারণেই তাবিথকে সমর্থন দেওয়া।' তাবিথকে নিয়ে একটি প্যানেল করার আভাসও দিয়েছেন তরফদার, '২০ তারিখ পর্যন্ত প্রত্যাহারের সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের প্যানেল তৈরি করব এবং আপনাদের জানাব। এ ব্যাপারে আমাদের আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আলোচনা অব্যাহত আছে এবং তা চূড়ান্ত পর্যায়ে।'  তবে তিনি যাই বলেন না কেন, তাবিথের সভাপতি পদে প্রার্থিতা ঘোষণার পর ব্যাকফুটে চলে যান। তার জন্য নির্বাচনে জিতে আসা কঠিন ছিল। তাই সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনে নামা। প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরুল হাসান সম্পর্কে তরফদার বলেছেন, 'আমরা দেখি আলাপ আলোচনা করে, কিছু একটা করতে পারি কিনা।' ইমরুল আবার আলোচনার সুযোগ দেখছেন না। ব্যাংকক থেকে বলেছেন, 'উনি সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আমি নির্বাচন করছি। এখন আবার উনি এই পদে করছেন। আসলে কিছু বুঝতে পারছি না। উনি কখন কী করেন।  আর এখন আলোচনা কী করব। নির্বাচন থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। আমি নির্বাচনে ভালোভাবে আছি। ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। কাল দেশে ফিরব।' ২৬ অক্টোবর নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ শুরু তাহলে।