ইতালি জাতীয় দলে মালদিনি পরিবারের ইতিহাস

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ইসরায়েলের বিপক্ষে ইতালির ম্যাচের ৭৪ মিনিটের খেলা চলছে তখন। ইতালির ফুটবলের একটি মাহেন্দ্রক্ষণ এলো তখনই। বদলি হিসেবে মাঠে নামলেন দানিয়েল মালদিনি। অনন্য এক অধ্যায়ের সূচনা হলো ইতালিয়ান ফুটবলের। ইতালিয়ান ফুটবলের সঙ্গে মালদিনি পরিবারের সংযোগ চেসারে মালদিনিকে দিয়ে। পরে বিশ্ব ফুটবল রাঙিয়েছেন তার ছেলে পাওলো মালদিনি। এবার পাওলোর ছেলে দানিয়েলের অভিষেক হয়ে গেল ইতালির জার্সিতে। এক পরিবারের তিন প্রজন্মের ইতালির জার্সি গায়ে চাপানোর নজির এটিই প্রথম। বাবা পাওলো মালদিনি ছিলেন ইতালিয়ান ফুটবলের আইকন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতীয় দলে ডাক পড়ে ছেলে দানিয়েল মালদিনির। সোমবার নেশন্স লিগে ইসরায়েলের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জেতা ম্যাচে দানিয়েলের অভিষেকে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে মালদিনির পরিবার। প্রথমবারের মতো ইতালি জাতীয় দলের হয়ে খেলল কোনো পরিবারের তিন প্রজন্ম। দাদা ও বাবার মতো দানিয়েল ডিফেন্ডার নন, বরং তিনি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। তার শুরুটাও এসি মিলানে। ক্লাবের হয়ে তিনি গোল করায় তিন প্রজন্মের গোল করার ইতিহাস রচনা হয়েছে। তবে খুব বেশি আলো ছড়াতে পারেননি এখানে। চার বছরের এসি মিলান অধ্যায়ে খেলতে পেরেছেন কেবল ১৫টি ম্যাচ। ধারে খেলেছেন তিন ক্লাবে। এই মৌসুমে নতুন পথচলা শুরু করেছেন মোঞ্জার হয়ে। জাতীয় দলে প্রথম ডাক পান তিনি এই নেশন্স লিগেই। এবার অভিষেকও হয়ে গেল। মায়ের সূত্রে দানিয়েল জাতীয় দল হিসেবে বেছে নিতে পারতেন ভেনেজুয়েলাকেও। তবে মালদিনি আর ইতালি তো প্রায় সমার্থক! ভিন্ন পথ বেছে নেননি তিনি। ম্যাচ শেষে ২৩ বছর বয়সি এই ফুটবলার বললেন দেশের হয়ে খেলার ভালো লাগা ও গর্বের কথা, 'আমি খুবই খুশি যে, বাবা-মা এখানে এসেছে। বাড়ি ফিরে তাদের সঙ্গে কথা বলব। খুবই তীব্র ও আনন্দময় আবেগ ছিল (মাঠে নামার সময়)। খুবই খুশি যে, দেশের হয়ে খেলতে পেরেছি এবং ম্যাচটিও দারুণ হয়েছে আমাদের জন্য।'