আগামী ডিসেম্বরে সাত দল নিয়ে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর। তার আগে গতকাল হয়ে গেল পেস্নয়ার্স ড্রাফট। ড্রাফট থেকে লটারির মাধ্যমে পছন্দের খেলোয়াড় বেছে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ড্রাফটে কারা কেমন খরচ করেছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এবারের পেস্নয়ার্স ড্রাফটে দেশি খেলোয়াড়দের ছয়টি ক্যাটাগরি ও বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য ছিল পাঁচটি ক্যাটাগরি। দেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ কোটি টাকা ও বিদেশিদের দলে টানতে ৩ কোটি টাকার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ড্রাফট থেকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী খেলোয়াড় দলে টেনেছে দলগুলো।
এবারের ড্রাফটে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে টুর্নামেন্টটির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, রিশাদ হোসেনদের সঙ্গে বিদেশিদের মধ্যে পাথুম নিশাঙ্কা, জেমস ফুলারদের দলে টেনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যতদূর জানা গেছে, সবমিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা খরচ করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
সিলেট স্ট্রাইকার্সও টাকা খরচে এগিয়ে ছিল। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি, রনি তালুকদারদের সঙ্গে বিদেশি খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে রিস টপলি, রাহকিম কর্নওয়ালদের দলে টেনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তাদের গুনতে হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। খরচের দিক থেকে এর পরে রয়েছে খুলনা টাইগার্স। নাঈম শেখ, লুইস গ্রেগরি, ইমরুল কায়েসদের দলে টানতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি খরচ করেছে প্রায় ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারও বিপিএলে ফিরেছে চিটাগং কিংস। টুর্নামেন্টটির প্রথম দুই মৌসুমে অংশ নেওয়া দলটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে আর্থিক সমঝোতা করে এবার বিপিএলে ফিরছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে ফিরে ভালো দল গড়ারই চেষ্টা ছিল তাদের। ড্রাফট থেকে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় টানতে দলটি খরচ করেছে প্রায় ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
উত্তরবঙ্গের ফ্র্যাঞ্চাইজি নবাগত দুর্বার রাজশাহী তরুণদের প্রাধান্য দিয়েছে। জিসান আলম, আকবর আলীদের নিয়ে দল গড়তে রাজশাহী খরচ করেছে প্রায় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আরেক নবাগত দল ঢাকা ক্যাপিটালস ড্রাফট থেকে দলে নিয়েছে লিটন দাস, হাবিবুর রহমান সোহান, সাইম আইয়ুবদের। তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
বিগ বাজেটের রংপুর রাইডার্স এবার সবচেয়ে কম খরচে দল গঠন করেছে। তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১২ লাখ টাকা।