রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র কিনে চমক দিলেন রেদোয়ান

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
আব্দুলস্নাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) লেগেছে নির্বাচনের হাওয়া। বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র তুলতে শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। শনিবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন ক্রয়-বিক্রয়ের শেষ সময়। শেষদিনে চমক দেখিয়েছেন দুই সংগঠক। সভাপতির পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত শনিবার সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের মনোনয়ন তুলে সবাইকে চমকে দেন তরফদার রুহুল আমিন। শনিবার শেষ বিকাল বাফুফে সভাপতির পদে মনোনয়নপত্র কিনে সব থেকে বড় চমক দেন আব্দুলস্নাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান। সভাপতি পদে এবার ৪ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র কেনা অপর তিনজন হলেন তাবিথ আওয়াল, মিজানুর রহমান চৌধুরী ও সাহাদাত হোসেন।

আব্দুলস্নাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর। তবে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চাওয়া তরফদার রুহুল আমিন সভাপতি নয়, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে তিনি এই মনোনয়নপত্র তুলেছেন। শুধু এ বছরই অবশ্য নয়, দীর্ঘ ৮ বছর ধরেই বাফুফের সভাপতি হওয়ার জন্য ফুটবল অঙ্গনে দৌড়ঝাঁপ করছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। নানা প্রতিবন্ধকতায় পেরে ওঠেননি। এবার মনে হচ্ছিল, সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র নেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিনলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে।

সভাপতি পদে এর আগে মনোনয়নপত্র কিনেছেন তাবিথ আওয়াল ও ফুটবলের অপরিচিত মুখ তৃণমূলের সংগঠক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও সাহাদাত হোসেন। ফুটবলাঙ্গনে তেমন পরিচিতি না থাকলেও দিনাজপুরে কারও কাছে তিনি 'ফুটবল পাগল মিজান'। কারও কাছে তিনি 'মিজান আঙ্কেল।' দিনাজপুরের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম মিজানুরের; তার পিতা অধ্যক্ষ এএম তাছিরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী; যিনি ছিলেন নামকরা শিক্ষাবিদ। মিজানুরের ভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান (বীরউত্তম-মরণোত্তর)। মিজানুর পেশায় একসময় ছিলেন ব্যাংকার, কিন্তু তার নেশা ছিল ফুটবল নিয়ে। দিনাজপুরের বড় মাঠে তিনি তৃণমূল, ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে ফুটবলের কার্যক্রম চালাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। এজন্য আর্থিক সুবিধা নেন না, বরং ফুটবল শিখতে আগ্রহীদের কেউ অর্থ কষ্টে থাকলে, তা দূর করার চেষ্টা করেন। মূলত ফুটবলের প্রতি এই নেশার কারণেই ব্যাংকের চাকরি চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে তাবিথ আওয়াল ফুটবলের পরিচিত মুখ। দুই মেয়াদে ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি পদে। ২০১২ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে সতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তাবিথ আউয়াল। ২০২০ সালের নির্বাচনে 'নাটকীয়তার' পর হেরে যান তিনি। ২০২০ সালের নির্বাচনে চার সহ-সভাপতির একটি পদে মহিউদ্দিন মহির সঙ্গে সমান ৬৫টি করে ভোট পান তাবিথ। পরে ওই একটি পদে আবার নির্বাচন হয়, সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৬৭-৬৩ ভোটে হেরে যান তিনি। এবার জিতলে বাফুফের গঠনমূলক পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত তাবিথ দিয়েছেন অতীতের কর্মকান্ডের প্রসঙ্গ টেনে।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রুহুল আমিন ছাড়াও আছেন আরও দু'জন। এরা হলেন মো. ইমরুল হাসান এবং

মো. মনির হোসেন।

সহ-সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ১২ জন এরা হলেন- নেসার শাহরিয়ার জাহেদী, ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম, ইকবাল হোসেন, সাব্বির আহমেদ আরেফ, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী, রশিদ সামিউল ইসলাম, সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির, এসএম আবদুলস্নাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান, শফিকুল ইসলাম মানিক, সত্যজিত দাস রূপু, মিসবাহ আহমেদ বিন সামাদ চৌধুরী ও সৈয়দ হাসান কানন। এ ছাড়া সদস্য পদে মোট ৪৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ১৩ ও ১৪ অক্টোবর মনোনয়ন দাখিল করতে হবে। আগামী ২৬ অক্টোবর বহুল প্রতীক্ষিত বাফুফে নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে