বিপিএলের পেস্নয়ার্স ড্রাফট নিয়ে বিতর্ক
প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের রোমাঞ্চ শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। দেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে পেস্নয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। তার আগে খেলোয়াড়দের মূল্য তালিকা ও ক্যাটাগরি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে 'এ' শ্রেণির ক্রিকেটারদের জন্য। ছয় ক্যাটাগরিতে ১৮৮ জন স্থানীয় ক্রিকেটারের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস রয়েছেন 'সি' ক্যাটাগরিতে। তালিকা প্রকাশের পর ক্যাটাগরি সিস্টেম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুক্রবার এই বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন টাইগার এই ব্যাটসম্যান
পেস্নয়ার্স ড্রাফটের গ্রেডিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইমরুল কায়েস বলেন, বিপিএলের পেস্নয়ার্স ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং দেখে চিন্তা করছি গ্রেডিংটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছরজুড়ে ক্রিকেটের আশপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো 'বি' গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা 'সি' গ্রেডে। তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়?
ইমরুল কায়েস জানান, বিপিএলে ভালো করতে না পারার মাশুল গুনতে হয়েছিল জাতীয় দলে জায়গা হারিয়ে। তিনি বলেন, বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোনো সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম।
আরও যোগ করেন, জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোনো ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?