বাফুফে সভাপতি পদে বুধবার কোনো ফরম বিক্রি হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে দুটি ফরম বিক্রি হয়েছে। একটি সংগ্রহ করেছেন তাবিথ আউয়াল, আরেকটি মিজানুর রহমান। তাবিথ আউয়ালের মতো তিনিও লোক মারফত ফরম সংগ্রহ করেছেন।
বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়ন কিনে চমক দেওয়া নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের নুরুল ইসলাম নুরু মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে চমক দিয়েছিলেন। আট বছর পর মিজানুর রহমানের সভাপতি পদে ক্রয় সেই রকমই। মিজানুর রহমান ফুটবল অঙ্গনে একেবারে অচেনা ব্যক্তি। ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে অন্য সব ফেডারেশনের থেকে ভিন্ন। কাউন্সিলর না হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যায়। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রে কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে একজন প্রস্তাবক ও আরেকজন সমর্থক হতে হয়। সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়ানো তাবিথ আউয়াল কাউন্সিলর হননি।
বুধবার মনোনয়ন বিক্রির প্রথম দিনই সভাপতি পদে তাবিথ আউয়ালের ফরম সংগ্রহ করার কথা ছিল। তার জন্য সবাই অপেক্ষায় ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি লোক মারফত ফরম সংগ্রহ করেন। তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ফরম সংগ্রহ করেন নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ভুইয়া শাহীন।
ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন একটি উৎসব ও উন্মাদনা। এতে সভাপতি প্রার্থী নিজে এসে জমা দিলে পরিবেশ আরও রঙিন হতো। তার না আসার কারণ সম্পর্কে প্রতিনিধি শাহীন বলেন, 'তিনি নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি, আমি সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার সভাপতি তাই আমি অফিসিয়াল প্রধান হিসেবে তার ফরম সংগ্রহ করেছি। তাছাড়া তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। পূজা উপলক্ষে তার ব্যস্ততাও থাকতে পারে।'
বাফুফে নির্বাচনে বুধবার ২৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে এসে বিক্রি হলো সভাপতি মনোনয়ন। এই পদে মনোনয়নপত্রের দাম ১ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার সভাপতির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও বুধবার বাফুফে হিসাব শাখা বরাবর পে-অর্ডার করে রেখেছিলেন তাবিথ আউয়াল। আজ মনোনয়ন বিক্রি বন্ধ। শনিবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ক্রয়-বিক্রয়। এক দিন বিরতি দিয়ে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর মনোনয়ন দাখিল? গ্রহণের সময় অনুপস্থিত থাকলেও মনোনয়ন দাখিলে তাবিথ সশরীরে আসবেন, 'আজ (্বৃহস্পতিবার) না আসলেও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তিনি আসবেন'- বলেন শাহীন। বুধবার শাহীন নিজেই সদস্য পদে ফরম নিয়েছিলেন।
তবে সবার আগে ঘোষণা দিয়েও এখনো বাফুফে সভাপতি পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন। তিনি এখন খানিকটা নিভৃতে। ফুটবলাঙ্গনের খবর, তরফদার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে পারেন, ফলে তাবিথ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে যাচ্ছেন। তাবিথ যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না জিততে পারেন এজন্য একজন অচেনা কাউকে তাবিথই দাঁড় করিয়েছেন, না কি মিজানুর স্ব-ইচ্ছায় আলোচনায় আসতে সভাপতি পদে মনোনয়ন কিনেছেন এ নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।
