নেপালকে হারিয়ে মেয়েদের সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এরপর গড়িয়ে যায় দীর্ঘ ১০ মাস। একটিও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাঘিনীরা। গত বছরের জুলাইতে নেপালের সঙ্গেই কাটে সেই খরা। অলিম্পিক বাছাইপর্বে তাদের খেলতে না পাঠানোয় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল বাফুফে। পরে সাবিনা খাতুনের দল এশিয়ান গেমসে খেলতে। বছরের শেষদিকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে খেলে দুই প্রীতি ম্যাচ।
লাল-সবুজের বিজয় কেতন উড়িয়ে দেশকে সাফল্য এনে দেওয়া ফুটবলাররা চলতি বছর খেলেছে মাত্র চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ফিফা উইন্ডোতে ঘরের মাটিতে চাইনিজ তাইপে ও ভুটানের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলেছিল। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের আগে পর্যাপ্ত ম্যাচ না খেলার আক্ষেপটা তারকা মিডফিল্ডার সানজিদা আক্তারের কণ্ঠে ঝরেছে। অনুশীলনের এক পর্যায়ে বুধবার বাফুফের ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্মে সাক্ষাৎকার দেন সানজিদা। এ সময় তিনি বলেন, 'আমরা ঐরকম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারি নাই। আমরা নিজেরা ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু অন্য দেশের সঙ্গে খেললে আরো বেশি ভালো হতো। আমাদের ভুল-ত্রম্নটিগুলো ধরতে পারতাম, বুঝতে পারতাম। অনেক ফাইটিং ম্যাচ খেলতে পারতাম। আমরা সাফে যাব, প্রস্তুতি মোটামুটি আছে। চেষ্টা করবো আরকি ভালো কিছু করার।' অনেক আগেই বিদেশি ক্লাবে খেলার স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। মালদ্বীপ ও ভারতের ঘরোয়া লিগে খেলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কলকাতা ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সানজিদা। ভুটানের ক্লাব রয়েল থিম্পু কলেজ এফসিতে ঋতুপর্ণা চাকমা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা চাকমা খেলেছেন।
সাফে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে সানজিদার ভাষ্য, 'আমাদের দলের অনেকের বাইরের লিগ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমরা সেগুলো কাজে লাগাব। আমরা প্রতিনিয়ত ক্যাম্প করি। প্রতিনিয়ত অনুশীলন করছি। সব মিলিয়ে আমাদের বন্ধনটা অনেক ভালো।'