বিশ্বকাপের মতো গোয়ালিয়রেও চূড়ান্ত ব্যর্থ মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ। দলের ভরাডুবির দিন আরো একবার প্রশ্নবিদ্ধ স্কোয়াডের সবচেয়ে সিনিয়র এই সদস্য। অথচ পারফরম্যান্স কিংবা অভিজ্ঞতা নয় বরং একের পর এক ম্যাচে রিয়াদের সুযোগ পাওয়ার কারণ- তার নামের ভার। তাতে পারফর্ম করেও উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছেন অন্যরা।
বাংলাদেশের পেশাদার ক্রিকেটার হয়ে নিজেকে বেশ ভাগ্যবানই মনে করা উচিত মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদের। যেখানে চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেও টিকে থাকা যায় নাম-অতীত আর কোটার হিসেবে। ব্যর্থ বিশ্বকাপ শেষে ভারতের মাটিতে নতুন দিনের শুরু করতে পারত বাংলাদেশ। হার কিংবা জয়- অন্তত প্রপার ক্রিকেটটুকু খেলার সম্ভাবনা ছিল। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য এটা স্রেফ ফেয়ারওয়েল মঞ্চ। তাইতো ধারাবাহিক ব্যর্থ আর অফফর্মে থাকা রিয়াদ এখনো সুযোগ পান প্রথম একাদশে। অথচ বিশ্বকাপ শেষেই তার বিকল্প খোঁজার সময় পেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
আফগানিস্তান ম্যাচের বিতর্কিত ব্যাটিং অ্যাপ্রোচের পর পাক্কা ৩ মাস কেটে গেছে। এই ৩ মাসে এইচপির ব্যানারে অস্ট্রেলিয়ায় টপ অ্যান্ড টি-২০ সিরিজ- মিরপুরের সাদা বলের ক্যাম্প আর প্রস্তুতি ম্যাচ। ভারত সিরিজে সুযোগ পাবার মানদন্ড এসব হবার কথা হলেও টিম ম্যানেজমেন্ট বেছে নেয়
'পাবলিক ডিমান্ড' থিওরি। টপ এন্ডের ৮ ম্যাচে শামীমের পক্ষেই কথা বলে পরিসংখ্যান। ম্যাচ সিনারিও বা প্রস্তুতি ম্যাচেও ছিলেন ধারাবাহিক। তবুও জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তণের সুযোগ পাননি গত ডিসেম্বরে বাদ পড়া এই মিডল অর্ডার। এই ৮ ম্যাচে ১১৬.২৫ স্ট্রাইক রেট ও ৪৬.৫০ গড়ে ১৮৬ রান করেছেন শামীম। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৪৪ রানের। বৈশ্বিক মানদন্ডে খুব ভালো না হলেও খারাপ বলাও যায় না। ২০২৬ বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করলে বাজিয়ে দেখা যেত মাহফুজুর রাব্বিকেও। যুব এশিয়া কাপজয়ী অধিনায়ক ৮ ম্যাচে ১৪৩.৬৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৩২ রান। পাশাপাশি ৬.২৬ ইকোনমি রেটে রান দিয়ে ৪টি উইকেটও শিকার করেছেন।
অথচ শামীম-রাব্বিকে টপকে রিয়াদের ভারত সিরিজের টিকেট পাওয়ার একমাত্র কারণ নামের ভার। মিরাকল না হলে দিলিস্নতে আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন সিনিয়র ক্যাম্পেইনার। নিজের শেষের শুরু নিজেই করলেন। গোয়ালিয়রে দলের বড় হারের পর ঘুম ভাঙা উচিত নীতিনির্ধারকদের।
