নারী টি২০ বিশ্বকাপের শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ রানের সহজ জয় তুলে নিয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোঁচট খেয়েছে টাইগ্রেসরা। ২১ রানে হেরেছে জ্যোতিরা। আগামী ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশের মেয়েরা।
শনিবার ইংল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে আশা জাগিয়েও ২১ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড সর্বসাকুল্যে করতে পারে ১১৯ রান। আরেকটা বড় জয়ের জন্য মঞ্চটা যেন প্রস্তুত করেই রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। আরও স্পষ্ট করে বলল স্পিনাররা। তবে বাংলাদেশি ব্যাটাররা ১১৯ রানও তাড়া করতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে জ্যোতিদের সংগ্রহ ছিল মোটে ৯৭ রান। ফলে হারতে হয়েছে ২১ রানের ব্যবধানে।
ইংল্যান্ডকে হারানোর এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপটা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে হয়তো অনেক কাল পোড়াবে। টি২০ ফরম্যাটের বৈশ্বিক আসরেও ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার মাশুলটা লাল-সবুজের দলকে নিতে হয়েছে। ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক জ্যোতির কণ্ঠে ছিল বড় দলকে হারাতে না পারার আক্ষেপ। ১১৯ রান করতে না পারায় অধিনায়কের কাঠগড়ায় দলের ব্যাটাররা, 'আমরা বড় দলকে হারানোর দারুণ সুযোগ হারালাম। আমাদের বোলাররা দারুণ কাজ করেছে। তবে আমাদের ব্যাটাররা হতাশ করেছে। তারা পাওয়ার পেস্ন'তে যেভাবে শুরু করেছিল, তারপর আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।'
জ্যোতি আরও বলেন, 'এমন উইকেটে ভালো জুটির দরকার ছিল। পাওয়ার পেস্নতে আমরা রান করতে পারিনি। এটা আমাদের ভুগিয়েছে। ভুল সময়ে আমিও আউট হয়ে গেলাম। সে (মোস্তারি) দারুণ খেলেছে। আগের ম্যাচেও খেলেছে। খুবই খুশি তাকে নিয়ে। আশা করি সামনের ম্যাচগুলোয় সে একই কাজ করতে পারবে।'
এদিকে পাওয়ার পেস্নতে স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান তুলতে না পারাকেই দায়ী করলেন ফাহিমা খাতুন। টাইগ্রেস এই লেগব্রেক বোলার ব্যাটিং লাইনআপে উন্নতির সেই পুরনো কথাই শোনালেন। ইতিহাস গড়ার সুযোগ হাতছাড়ার বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করে নিয়ে ফাহিমার ভাষ্য, 'আমি নিজের জায়গা থেকে তাই মনে করি। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় মনে করছে, খুব বড় সুযোগ ছিল। আসলে ইংল্যান্ড অনেক বড় একটা দল আমরা সবাই জানি। তাদের বিপক্ষে আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। আমি খুব আশাবাদী ছিলাম এবং দলের সবাই খুব আশাবাদী ছিল, আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি বলব (ব্যাটিংয়ে) আমাদের শুরুটা অনেক ধীরগতির হয়েছিল। হঁ্যা, আমরা সুযোগ হাতছাড়া করেছি।'
১২০ বলের মধ্যে ব্যাটাররা ৬৩টি ডট বল খেলে ঘটিয়েছে সর্বনাশ। প্রতিপক্ষের সঙ্গে অভিজ্ঞতার ব্যবধানকে পরাজয়ের কারণ বলার অবকাশ নেই। চমৎকার বোলিংয়ের পর এমন ব্যাটিং প্রদর্শনী ছিল চরম হতাশাজনক।