দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার পরেও যথাসময়ে ঝঞ্ঝাটমুক্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসর আয়োজনে বিসিবির কার্যকরী ভূমিকা দেখতে চান ক্রিকেটাররা। সেই দাবিতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ক্রিকেটাররা। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে সেই বৈঠকে ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মুস্তাফিজুর রহমানের মতো তারকারা। সেই বৈঠকে তারা বিপএলের ড্রাফটে থাকা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক কমানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন। তামিমদের কথা রাখছেন বিসিবি সভাপতি।
গত মৌসুমের তুলনায় এই মৌসুমে বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক কমছে। বিসিবি সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৪ অক্টোবর হতে যাওয়া ড্রাফটে খেলোয়াড়দের ছয়টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হচ্ছে। সেখানে একজন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ৬০ লাখ এবং সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পাবেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ-ফ ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড়দের ভাগ করা হবে। 'এ' ক্যাটাগরিতে থাকা খেলোয়াড়রা ৬০ লাখ, 'বি' ক্যাটাগরিতে ৪০ লাখ, এভাবে যথাক্রমে ২৫ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ এবং এফ ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা পাবে। গত আসরের অবশ্য মোট সাতটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছিল, যেখানে 'এ' ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ এবং জি ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা করে পেয়েছিলেন খেলোয়াড়রা।
এবার ড্রাফটের আগে রিটেইন এবং সরাসরি চুক্তিতে খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর সুযোগ থাকছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য। এবারের মৌসুমে থাকছে না দুর্দান্ত ঢাকা, কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি তিনটি।
এবারের বিপিএলে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস এবং দুর্বার রাজশাহী। নতুন দল হিসেবে প্রাথমিক ড্রাফটের আগেই তিনজন দেশি ক্রিকেটারকে তারা দলে যুক্ত করতে পারবে। এছাড়া আগে থেকে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স এবং রংপুর রাইডার্স সরাসরি একজন করে খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করতে পারবে এবং দুজন করে খেলোয়াড় রিটেইন করতে পারবে। রিটেইন, সরাসরি চুক্তি এবং ড্রাফটের খেলোয়াড় মিলে এক একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বনিম্ন ১০ এবং সর্বোচ্চ ১৪ জন দেশি খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ করতে পারবে। তবে বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে এবারের আসরে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। তবে দুশ্চিন্তার বিষয়, ড্রাফটের সপ্তাহখানেক সময় বাকি থাকলেও এখনও বেশ কয়েকটি দল পুরো ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি জমা দিতে পারেনি। তবে আশাবাদী বিসিবি সভাপতি। ড্রাফটের আগেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা তার। এ ব্যাপারে ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি বলবো না যে সব ঠিক হয়ে গেছে। এখনও কিছু পেমেন্ট বাকি আছে। আমরা বারে বারে সময় বাড়িয়েছি। আমাদের ড্রাফট যেহেতু ১৪ তারিখে। আমরা এখনও পর্যন্ত সেটাই রেখেছি। ওইদিনই আয়োজন করতে চাই। তার আগে আশা করি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে আশা করছি।'