সদ্য শেষ হওয়া কানপুর টেস্টে মাঠে নামার আগে টি-২০ ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তার এমন সিদ্ধান্তে উত্তাল ক্রিকেটপাড়া। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়েছে সাকিবের আয়েও। দুই ফরম্যাট থেকে বিদায় নেওয়ায় অর্ধেকের বেশি কমতে যাচ্ছে দেশসেরা এই ক্রিকেটার।
গঠনতন্ত্র অনুসারে প্রতি বছরই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি নবায়ন করে থাকে বিসিবি। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
যেখানে তিন ফরম্যাটেই চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাদের তালিকায় ছিলেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। নাজমুল হাসান শান্তর পরই সবচেয়ে বেশি বেতন পেতেন তিনি। তবে অবসর ঘোষণার পর বদলে গেছে সব হিসেব-নিকাশ।
টি-২০ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচই ছিল সংস্করণটিতে সাকিবের শেষ ম্যাচ। ইচ্ছা অনুযায়ী দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে না পারলে সদ্য সমাপ্ত কানপুরেই টাইগার অলরাউন্ডারের শেষ টেস্ট খেলা হয়ে গেছে। যে কারণে দুই সংস্করণে আর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন না সাকিব। ফলে তার বেতন কমছে অর্ধেকেরও বেশি।
ক্রিকেটারদের কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছিল বিসিবি। তিন ক্যাটাগরির খেলোয়াড় তালিকায় সাকিব
ছাড়াও ছিলেন লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন
শান্ত ও শরিফুল ইসলাম।
যেখানে টেস্টে এ+ গ্রেডের বেতন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ওয়ানডেতে ৪ লাখ আর টি-২০তে সংখ্যাটা সাড়ে ৩ লাখ। কোনো ক্রিকেটারের নাম যদি তিন সংস্করণে থাকে তাহলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রথম সংস্করণের শতভাগ, দ্বিতীয় সংস্করণের ৫০ ভাগ ও তৃতীয় সংস্করণের ৪০ ভাগ টাকা পেয়ে থাকেন।
এই হিসেবে সাকিব প্রতি মাসে বেতন পেতেন ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া তিন সংস্করণে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ করলে ক্রিকেটাররা পান বাড়তি ভাতা। কিন্তু টেস্ট ও টি-২০ না খেলায় একমাত্র ওয়ানডে চুক্তির জন্য সাকিব মাসে পাবেন ৪ লাখ টাকা করে।
এ ছাড়াও আগামী ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে এই ফরম্যাট থেকেও বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।