বাফুফে নির্বাচনের জন্য ১৩৭ কাউন্সিলরের নাম জমা
প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন। এই নির্বাচনের জন্য ১৩৭ জন কাউন্সিলরের নাম বাফুফেতে জমা পড়েছে। সোমবার ছিল কাউন্সিলর প্রেরণের সর্বশেষ দিন। বাফুফে ক্লাব, জেলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নানা সংস্থা মিলিয়ে ১৩৯ ভোটিং ডেলিগেট প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করেছিল। এর মধ্যে ১৩৭ প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিনিধির নাম প্রেরণ করেছে।
১৩৭ সংগঠন/সংস্থার মধ্যে রয়েছে বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ৮টি, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ৬২টি, প্রিমিয়ার লিগের ১০ ক্লাব, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ৫ ক্লাব, প্রথম বিভাগের ১৮ ক্লাব, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ৮টি করে ক্লাব, মহিলা লিগের ৪ শীর্ষ দল, ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৫টি শিক্ষা বোর্ড, রেফারি ও কোচেস অ্যাসোসিয়েশন এবং মহিলা ক্রীড়া সংস্থা।
সাতক্ষীরা ও যশোর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কোনো প্রতিনিধির নাম প্রেরণ করতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, 'এই দুই ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে কাউন্সিলরশিপ ফরম প্রদান করা হয়নি। দুটি সংগঠনের আইনগত জটিলতা রয়েছে। কাউন্সিলরশিপ ফরম বিতরণ পর্যায় পর্যন্ত তাদের সেই সমস্যা নিরসন না হওয়ায় তারা এই ফরম পায়নি।'
কাউন্সিলর ফরম বিতরণ প্রক্রিয়া ও কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। শেষ দিনেও সংগঠকদের একাংশ কয়েকটি সংস্থার কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাফুফে ভবনে গিয়ে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগও জমা পড়েছে। এ জন্য আজ সকালে শুনানির ব্যবস্থা করেছে বাফুফে। সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের কথায়, 'কিছু জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। আমরা দুই পক্ষকে ২ অক্টোবর (আজ) সকালে আসার অনুরোধ করেছি। সেখানে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন কমিটি দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে।' তিনজন শুনানি গ্রহণ করবেন। এদের মধ্যে একজন থাকবেন সাবেক এক সচিব। সুষ্ঠ শুনানির স্বার্থে এখনই সেই সচিবের নাম প্রকাশ করছে না বাফুফে। ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব শেখ রাসেল চলতি মৌসুমে লিগে অংশগ্রহণ করছে না। এজন্য বাফুফে তাদের কাউন্সিলরশিপ ফরম প্রদান করেনি। যদিও শেখ রাসেলের দাবি সর্বশেষ লিগের পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী তারা কাউন্সিলরশিপ পাওয়ার যোগ্য। এ নিয়ে রাসেল চিঠিও দিয়েছিল। বাফুফে সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ফিফার মতামত জানতে চেয়েছিল। ফিফার পক্ষ থেকে সেই রকম কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় শেখ রাসেল আসন্ন নির্বাচনে ভোটাধিকার পাচ্ছে না বলে জানা গেছে।