ফাইনালে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা নামতে যাচ্ছে আজ। ফাইনালে শিরোপা জয়ের পথে বাংলাদেশকে আবারও মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতের। ভারতের কাছে হেরেই এর আগে এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি বাংলাদেশের। এবারের সাফেও গ্রম্নপ পর্বে ভারতের কাছে হেরেছিল সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। আজ তাই চ্যাম্পিয়ন হতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ। তবে আজকের এই ম্যাচ জিততে পারলে একদিকে যেমন বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে অন্যদিকে ভারতের বিপক্ষে হারের মধুর প্রতিশোধও নেওয়া হবে। আজ ভুটানের চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচটি। শুরুর দিকে বয়সভিত্তিক সাফে ভারতের থেকে এগিয়েই ছিল বাংলাদেশ। ২০১১ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া সাফের বয়সভিত্তিক আসর থেকেই অংশ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ-ভারত। প্রথম আসরে (অনূর্ধ্ব-১৬) এই দুই দলের দেখা হয়নি। ২০১৩ সালে (অনূর্ধ্ব-১৬) গ্রম্নপ পর্বে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারায় ভারত। এরপর ২০১৫ সালেও সাফের এই আসরটি হয় অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে। যেখানে গ্রম্নপ পর্বে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হারায় ভারতকে। ফাইনালেও দেখা হয় দুই দলের। টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-২ (১-১) গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে দেখাই হয়নি দুই দলের। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফের সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ (১-১) গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবারও সাফের শিরোপা জিতে লাল-সবুজরা। তবে ২০১৯ সাল থেকে ভারত যেন কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে তারা ৪-০ গোলে হেরেছিল ভারতের কাছে। ওই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। বাংলাদেশ হয়েছিল তৃতীয়। ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ ফরম্যাটে হয়েছিল সাফ। সেবার সেমিফাইনালে ভারতের কাছে (২-১) গোলে হেরে ফাইনালেই উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। গত বছর এই টুর্নামেন্ট হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে। সেই আসরেও ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ-ভারত। ওই ম্যাচে ২-০ গোলের জয়ে ভারত শিরোপা নিজের করে নিয়েছিল। যেহেতু এবার অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে হচ্ছে টুর্নামেন্টটি। তাই বলা চলে গত বছরের প্রায় একই দল নিয়ে এবার মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। গ্রম্নপ পর্বে ('এ' গ্রম্নপ) নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচটিতে লড়াই করে ইনজুরি টাইমে (৯০+১ মিনিটে) গোল হজম করে ১-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর গ্রম্নপের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের সঙ্গে (১-১) গোলের ড্র করাতে টুর্নামেন্টে টিকে থাকা নিয়েই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। তবে গ্রম্নপের শেষ ম্যাচটিতে ভারত ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে মালদ্বীপকে হারানোতে সেমিফাইনালের টিকিট পায় বাংলাদেশ। শনিবার চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর সেমিফাইনালে শক্তিশালী পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে ৮-৭ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে লাল-সবুজের যুবারা। পিছিয়ে পড়েও নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র রেখেছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে সেমিফাইনালে নেপালকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত। বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী টিটু অবশ্য শুরু থেকেই ভারতকে সমীহ করে আসছেন। তার কথায়, 'ভারত টেকনিক্যাল স্কিলে বেটার টিম। তারা কঠিন প্রতিপক্ষ। গ্রম্নপ পর্বে তাদের বিপক্ষে কাউন্টারে আমরা ভালোই করছিলাম, ওই ম্যাচের শেষ দিকে এসে ছেলেরা মনোযোগ হারিয়েছিল। তাদের ভুল-ত্রম্নটিগুলো নিয়ে এর মধ্যে কাজ করা হয়েছে। আশা করি, ফাইনালে আমরা লড়াই করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারব।'