বৃষ্টির শঙ্কা নিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট। কানপুরে শুক্রবার শুরু হওয়া সেই টেস্টে প্রথম দিনের অধিকাংশই ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ফলে খেলা হয়েছিল কেবল ৩৫ ওভার। একই কারণে শনিবার দ্বিতীয় দিন কোনো বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টি দেখে দুই দলের খেলোয়াড়রা যখন হোটেলে ফিরে যান, তখনই জেগেছিল শঙ্কা। আবহাওয়ার পূর্বাভাসও ছিল না ভালো খবর। আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই ভেস্তে গেছে। টানা বৃষ্টি এবং বাজে ড্রেনেজ সিস্টেমের কারণে এদিন এক বলও মাঠে গড়ায়নি। চা বিরতির আগেই খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত আম্পায়াররা।
শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার খানিক পর দ্বিতীয় দিনের খেলার সমাপ্তি টানা হয়। সারাদিন পুরো মাঠ কভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। মধ্যে ঘণ্টা দুয়েক বৃষ্টি না হলেও কভারে প্রচুর পানি ছিল। তিনটি সুপার শপার দিয়ে মাঠকর্মীরা নিরন্তর কাজ করে গেলেও কোনো লাভ হয়নি। রোববারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রিয়েছে, তবে গতকালের মতো এতটা নয়।
নির্ধারিত সময়ের আগে দুই দলই মাঠে এলেও গা গরমের সুযোগও পায়নি কোনো দল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ এবং ভারত দলের ক্রিকেটাররা।
সারারাত বৃষ্টির পর সকালে তা থেমেছিল। খেলা শুরুর আগে আবারো তা ফিরে এলে নির্ধারিত সময়ে মাঠে গড়ায়নি ব্যাট-বলের লড়াই। মধ্যে থামলেও এরপর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই জানানো হয়েছিল, কানপুর টেস্টের প্রথম তিন দিন থাকবে বৃষ্টি। প্রথমদিন ৩৫ ওভারের বেশি খেলাই হয়নি।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় দুই আম্পায়ার প্রথম দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন ৩৫ ওভারের বেশি খেলাই হয়নি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বেশ নাজুক ছিলেন জাকির হাসান। ২৪ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। ইনিংসের নবম ওভারে আকাশ দীপের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন টাইগার ওপেনার।
জাকিরের বিদায়ের পর স্কোরকার্ডে ৩ রান যুক্ত হতেই ফেরেন সাদমান ইসলাম। তাকেও ফেরান আকাশ দীপ। ৩৬ বলে ২৪ রান করে আউট হন সাদমান। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির পরপর ৩১ রান করে অশ্বিনের বলে এলবিডবিস্নউ হয়ে আউট হন শান্ত।
এর আগে ভারতের কোনো টেস্টের সম্পূর্ণ দিন বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ২০১৫ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই টেস্টেও তখন ফিল্ডিংয়ে ছিল স্বাগতিক ভারত।