আলভারেজের গোলে স্বস্তির জয় অ্যাটলেটিকোর
প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
খেলা তখন ড্রয়ে শেষ হওয়ার পথে। ম্যাচের বয়স ৯০ মিনিট ছুঁইছুঁই। বক্সের বাইরে ডান প্রান্ত থেকে দারুণ এক ক্রস করলেন আতোঁয়ান গ্রিজমান। গোলের সামনে ছুটে গিয়ে পায়ের ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে উলস্নাসে মেতে উঠলেন জুলিয়ান আলভারেজ। সেই গোলই দলকে এনে দিল জয়। দুঃসময়ের আঁধারে আলোর দেখা পেলেন আলভারেসও। লা-লিগায় বৃহস্পতিবার আলভারেজের ওই গোলেই সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রি। এদিনের এই জয়ে সাত ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে অ্যাটলেটিকো। দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। সাত ম্যাচের সব ক'টিতে জিতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের প্রেক্ষাপটে গোলটি দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল অ্যাটলেটিকোর জন্য। তবে আলভারেজের জন্য গোলটি ছিল হয়তো আরও বেশি জরুরি। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আলোচিত দল বদলে অ্যাটলেটিকোয় আসার পর সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা। নতুন ক্লাবে প্রথম ছয় ম্যাচে তার গোল ছিল কেবল একটি। প্রচুর সুযোগ হাত ছাড়াও করছিলেন। তাকে নিয়ে নানা প্রশ্নে অবশ্য
তার ওপর আস্থার কথা জোর দিয়েই বলেন কোচ
দিয়াগো সিমেওনে।
আর সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েই দলকে জয় এনে দিলেন আলভারেজ। দলকে জয় এনে দিতে পেরে দারুণ খুশি ২৪ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড। গোলটি যে তাকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে সামনের পথচলায়, সেটিও বললেন তিনি, 'কঠিন এক মাঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয় এটি। সময় গড়ানোর সঙ্গে আস্তে আস্তে ম্যাচে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছি আমি। অবশ্যই এই গোল আমার আত্মবিশ্বাসের জন্য সহায়ক হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো দলকে সাহায্য করতে পারা।'
আলভারেজকে এ দিন বদলি হিসেবে ব্যবহার করেছেন কোচ সিমেওনে। এছাড়াও বদলি নামানো অন্যদের পারফরম্যান্সে খুশি অ্যাটলেটিকো কোচ সিমেওনে, 'দ্বিতীয়ার্ধে বদলি কয়েকজনকে নামানোর পর আমরা ভালো খেলতে শুরু করি। রদ্রিগো রিকেলমে, জুলিয়ান (আলভারেস), আনহেল কোরেয়া দুই দিক থেকেই বেশ কার্যকর হয়ে উঠেছিল, মনে হচ্ছিল আমাদের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সৌভাগ্যবশত, শেষ সময়ে গ্রিজমান ও জুলয়ান খুব ভালো সংযোগ গড়তে পেরেছে।'
ম্যাচ জিতলেও অবশ্য আক্রমণভাগের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে খুশি নন সিমিওনে। এখানে আরও বেশি উন্নতির তাগিদ জানালেন কোচ, 'এদিন আমরা এমন এক দলের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট পেয়েছি, যারা রক্ষণাত্মকভাবে খুব শক্ত ও ধৈর্যশীল এবং গত ফেব্রম্নয়ারির পর থেকে হারেনি। আমরা খুব ভালো করছি। কিন্তু আক্রমণে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। তবে প্রথমার্ধে আমরা রক্ষণে ভালো করেছি। যদিও আমাদের ফরায়ার্ডদের গোলের সামনে রাখার যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। রক্ষণ যথেষ্টই ভালো আছে, আক্রমণে আরও ভালো করার পথ খুঁজে বের করতে হবে।