দুর্দিনে ব্রাদার্সকে পাশে পেল জামাল ভুইয়া

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আবাহনীর সঙ্গে পারিশ্রমিক নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এবারের ঘরোয়া লিগ খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগে জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুইয়ার -ওয়েবসাইট
ঘরোয়া ফুটবলে সুযোগ পেতে যেকোনো ক্লাবের হয়ে খেলতে প্রস্তুত জামাল ভুইয়া। দুর্দিনে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে পাশে পেল লাল-সবুজ অধিনায়ক। নতুন মৌসুমে জামালকে সুযোগ করে দিয়ে বাফুফেকে শিথিল হওয়ার আহ্বান ব্রাদার্সের। এদিকে ব্রাদার্সের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির আহ্বায়ক ইশরাক হোসেন। ফুটবলের নতুন মৌসুম সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরু করেছে ব্রাদার্স। আবাহনীর সঙ্গে পারিশ্রমিক নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এবারের ঘরোয়া লিগ খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগে জামালের। যা নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দ্বারস্তও হয়েছিলেন লাল-সবুজ অধিনায়ক। তবে লিগ শুরুর আগ মুহূর্তে জামালের পাশে দাঁড়াল ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আসন্ন ঘরোয়া লিগে জামালকে সুযোগ করে দিতে তাকে দলে ভেড়াতে চায় ব্রাদার্স। লিগে মাঠে নামতে নামতে যেকোনো ক্লাবের হয়ে খেলতে প্রস্তুত জেবি সিক্স। সংবাদমাধ্যমকে জামাল ভুইয়া বলেন, 'একটা মামলা চলছে। ফেডারেশন আমার চিঠি পেয়েছে। আমি ওখানে লিখেছি, আমি যেকোনো ক্লাবের হয়ে খেলতে চাই। একই মামলার বিষয়টাও কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটা নিয়েও কথা বলেছি।' পেশাদার লিগে খেলার প্রধান ও প্রথম শর্ত বাফুফের নিবন্ধন ফর্মে স্বাক্ষর করা। তবে দলবদলে নিবন্ধন না হওয়ায় প্রথম লেগে খেলার কোনো সুযোগ নেই জামালের। তাই জামাল ও ব্রাদার্স দুই পক্ষই এখন তাকিয়ে পেস্নয়ার স্ট্যাটাস কমিটির দিকে। তার বিষয়ে বাফুফেকে শিথিল হওয়ার আহ্বান ব্রাদার্স ম্যানেজারের। গণমাধ্যমকে ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমের খান বলেন, 'ফেডারেশনের কাছে আমার অনুরোধ, যেভাবেই হোক জামাল যেন তার জায়গায় ফিরে আসতে পারে, খেলতে পারে। সে জন্য আমাদের এখানে দুয়ারটা খুলে দেওয়া হলো। এখনো প্রতিযোগিতা শুরু হয়নি। তার আগেই আবেদন করছি। শুধু সেটা না, শুধু আমাদের দলে খেলতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যদি অন্য কোনো দলেও খেলাতে চায়, আমরা তাকে দিতে প্রস্তুত আছি।' দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে পরিবর্তন এসেছে ব্র্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজমেন্টেও। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ক্লাবটির দায়িত্বে আসেন ইশরাক হোসেন। তার উপস্থিতিতে নতুন মৌসুম সামনে রেখে ফুটবলারদের জার্সি উন্মোচন ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাবা সাদেক হোসেন খোকার আমলেই স্বর্ণযুগ কাটিয়েছে ব্রাদার্স। সেই সোনালি অতীত আবারও ফিরিয়ে আনতে চান ইশরাক। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের দুইটা জায়ান্ট আবাহনী, মোহামেডান। আর ব্রাদার্স ছিল জায়ান্ট কিলার্স। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন কোনো জায়ান্ট ছিল না, একমাত্র জায়ান্ট ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব। এ ক্লাবকে সে জায়গায় নিয়ে যাওয়াটা আমার লক্ষ্য।'