প্রায় দুই বছর ধরে খেলা নেই বডিবিল্ডিং ফেডারেশনে। সবশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপ। গত বছর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। পরে আর সেই পথে হাঁটেনি অ্যাডহক কমিটি। বরং আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও অসদাচরণের জন্য কারাবাসে গিয়েছিলেন সভাপতি আদম তমিজী হক। অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ হামিম হাসানও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালকের পদ থেকে অবসরে যান। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতনের পর অন্যতম ক্ষমতাধর সহসভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনির বড় ভাই ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুও আত্মগোপনে। এভাবে শরীর গঠন ফেডারেশনকে রাজনীতিকরণ করার ফলে ঘরে বন্দি হয়ে পড়েন বডিবিল্ডাররা।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় শরীর গঠন ফেডারেশনের কমিটি ভেঙে গত বছর জুনে সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে ক্রীড়া পরিষদ। অথচ গত প্রায় দেড় বছর কোনো খেলাই গড়াতে পারেনি ওই কমিটি। দুই বছর খেলতে না পেরে হতাশ বডিবিল্ডাররা। ৮৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে তিনবারের মিস্টার বাংলাদেশ খেতাব জেতা শেখ জামাল হতাশা প্রকাশ করেন, 'কোনো খেলা না খেলেই চলে গেল দুই বছর। এই সময় অনেক বডিবিল্ডার হারিয়ে গেছেন। যারা বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারতেন। এক বছর খেলা না থাকলে প্রতিযোগিতা না হলে একজন বডিবিল্ডারের শরীরের কন্ডিশনও ভালো থাকে না। আমাদের তো সরকার থেকে কোনো সহযোগিতা নেই, এখন খেলা না হলে কীভাবে শরীর আয়ত্তে রাখি।' বাংলাদেশ জিম মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ জিম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, 'দুই বছর ধরে কোনো খেলা নেই। ুসাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও মিস্টার বাংলাদেশ নজরুল ইসলামের আট বছর সময়কালে অনেক খেলা গড়াত।