আজকের যায়যায়দিন

প্রথমার্ধে লক্ষ্যে দুটি শট নিয়ে দুটিতেই গোল পেল রিয়াল মাদ্রিদ। বিরতির পর পর আরও একটি। অনায়াস জয়ের পথেই ছিল তারা। শেষ দিকে বদলে গেল সবকিছু। দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল দেপোর্তিভো আলাভেস। সান্তিয়াগো বার্সাবু্যয়েতে মঙ্গলবার রাতে লা লিগার ম্যাচে আলাভেসের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে শিরোপাধারী রিয়াল।

লুকাস ভাসকেস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপে। তাদের তৃতীয় গোলটি করেন রদ্রিগো। দুই মেয়াদে রিয়ালের ডাগআউটে আনচেলত্তির এটা ৩০০তম ম্যাচ। এর মধ্যে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ২১৬টি, জিতেছেন অনেক শিরোপা। এদিনের এই জয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমাল রিয়াল। সাত ম্যাচে পাঁচ জয় ও দুই ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কাতালান ক্লাবটি।

পারফরম্যান্স মনমতো না হলেও দল জয়ের ধারাতেই আছে। কিন্তু প্রথমার্ধে যে গোল মিলছে না, এস্পানিওলের বিপক্ষে জয়ের পর এই নিয়ে দুর্ভাবনার কথা বলেছিলেন কার্লো আনচেলত্তি। কোচের সেই দুশ্চিন্তা এবার প্রথম মিনিটেই ঘুচিয়ে দেন ভাসকেস। ম্যাচ শুরু হতেই নিজেদের সীমানায় ফ্রি কিক পায় রিয়াল। সেখান থেকে সতীর্থের লম্বা উঁচু করে বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, কাটব্যাক করেন ছয় গজ বক্সের মুখে। সেখানে প্রথম ছোঁয়ায় নিখুঁত শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ভাসকেস।

২৯ মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে একজনকে কাটিয়ে বাইলাইন ধরে বক্সে ঢোকার মুখে কড়া ট্যাকলের শিকার হন ভিনিসিয়াস। কিন্তু রেফারি ফাউল না ধরায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা, এজন্য হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। এস্পানিওল ম্যাচেও হলুদ কার্ড দেখেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। বেলিংহ্যামের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ৪০তম মিনিটে সুন্দর একটি গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। সতীর্থকে বল বাড়িয়ে ক্ষীপ্রতায় ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন সাবেক পিএসজি তারকা, এরপর ফিরতি বল ধরে একজনকে কাটিয়ে পেস্নসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশের 'ব্যাটিং পরিকল্পনা' দেখে বিস্মিত বুলবুল

৬৯ মিনিটে রদ্রিগোর বদলি নামার চার মিনিটের মধ্যে গোল পেতে পারতেন এন্দ্রিক। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে জোরাল শট নেন তরুণ ব্রাজিলিয়ান, প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে বল ওপরে উঠে পোস্টের উপরের অংশে লাগে। নির্ধারিত সময় শেষের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে দৃশ্যপটে আসে পরিবর্তন, পর পর দুই মিনিটে দুই গোল করে লড়াই জমিয়ে তোলে আলাভেস। আত্মবিশ্বাসী হয়ে রিয়ালের রক্ষণে প্রবল চাপ দেয় আলাভেস। কঠিন হলেও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে; কিন্তু আর বল জালে পাঠাতে পারেনি তারা। শেষ বাঁশি বাজতেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে রিয়াল!