কানপুরে তিন স্তরের নিরাপত্তা পাচ্ছে বাংলাদেশ দল
প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
সিরিজের আগেই হিন্দু মহাসভা নামে এক সংগঠন কানপুর টেস্ট ঘিরে হুমকি দিয়েছিল। তাদের হুমকিতে ভেনু্য বদল হয় কিনা এমন একটা শঙ্কাও কাজ করেছে। তবে সূচি অনুযায়ী কানপুর হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচ। আর খেলা নির্বিঘ্নে আয়োজন করতে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন বাংলাদেশ দলকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে।
কানপুরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্টকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছে আয়োজকরা। এ টেস্টকে কেন্দ্র করে আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছে অখিলেশ ভারতীয় হিন্দু মহাসভা নামে ধর্মীয় সংগঠন। সোমবার সংগঠনটির ২১ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এ অবস্থায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা নিয়েছে
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
ওই সংগঠনটি বলেছে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রতিবাদে তারা কানপুরে নানাভাবে প্রতিবাদ জানানোর কথা বলেছে। তার মধ্যে স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কথাও বলেছে। যার মোকাবিলা করার জন্যই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন কানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারিশ চন্দর। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এই ম্যাচের জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগের অনুরোধ করা হয়েছে। আরও বলেছেন, 'আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করছি, যাতে কোনো ধরনের ত্রম্নটি না থাকে। আশা করছি, চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ আমরা পাব।'
ডিসিপি শারওয়ান কুমার সিংহ আবার জানিয়েছেন, গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম ও হোটেল ল্যান্ড মার্ককে তিনটি স্তরে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। প্রতিটি স্তরে দায়িত্বে থাকবেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ম্যাচের আগে ট্রাফিকও নিয়ন্ত্রণ করা হবে স্থানীয় এলাকায়। কানপুরের ডিসিপি রাজেশ শ্রীভাস্তাব সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন টেস্ট ঘিরে তারা যেভাবে সাজিয়েছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা, 'এখানে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। একটা হচ্ছে আইসোলেশন কর্ডন। যেটা মাঠ, পিচ ও স্পর্শকাতর এলাকাকে সুরক্ষা করবে। মাঝের আরেক স্তর থাকবে প্যাভিলিয়নে। এরপর বাইরে রাস্তার দিকে থাকবে আরেক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।' একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সব দেখভাল করা হবে। পুরো এলাকা ঘিরে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি থাকবে বলে জানান তিনি। এক হাজারের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন বিভাগের নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, দুই দলকেই সমান নিরাপত্তা বলয়ের ভেতর রাখা হবে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে কানপুরে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এরপর গোয়ালিয়রে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ। সেই শহরেও ম্যাচের দিন অবরোধ ঢেকেছে হিন্দু মহাসভা।