বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টেস্টে ছন্দহীন এক সাকিবকে দেখা গেলে। কোনো উইকেট তো পাননি। ২১ ওভার বোলিং করে ছিলেন বেশ খরুচে। এতে ভারতের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত চেন্নাই টেস্টে বেশ আলোচনায় ছিলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একে তো চোট ইসু্য, এর ওপর পারফরম্যান্সেও সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ এই ক্রিকেটার। এমন পরিস্থিতিতে তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কানপুর টেস্টে খেলবেন কিনা, সেটাও নিশ্চিত করা বলা কঠিন।
চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনেই আচমকা আলোচনায় উঠে আসে সাকিব আল হাসানের আঙুলের ইনজুরি। ধারাভাষ্যকার এবং ভারতের সাবেক স্পিনার মুরালি কার্তিক সাকিবের ইনজুরির খবর জানান। এরপরই শুরু হয় নানা গুঞ্জন।
সোমবার টিম হোটেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচক হান্নান সরকার বলেন, 'আমাদের হাতে সময় আছে। আমরা দেখব, সাকিবের কী অবস্থা। আমরা জানি যে, সাকিবের হাতে ব্যথা আছে। এটা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এই ব্যথা ম্যাচের আগে ছিল না। ম্যাচের আগে যখন ফিজিওর পরামর্শ নেই, সেখানে কিন্তু শতভাগ ক্লিয়ারেন্স পেয়েছিলাম। সেই জায়গা থেকে সাকিব ম্যাচ খেলেছে এবং শতভাগ ফিট ছিল। অবশ্যই দ্বিতীয় টেস্টের আগে সাকিবকে বেশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।'
হান্নান আরও বলেন, 'আপনি সরাসরি চোট বলতে পারবেন না। কিছু ছোট ছোট ব্যাপার থাকে, যে আঙুলটায় অসুবিধা হয়েছিল, সেটা ম্যাচের আগে সে ফিল করতে পারেনি। বোলিং করা শুরু করার পর ফিল করেছে। সেই আঙুলে আবার বল লেগেছে। সেদিক থেকে কিছুটা তো ব্যথা রয়েছে। যেহেতু সেকেন্ড টেস্টের আগে সময় আছে, আমাদেরও দেখার সুযোগ রয়েছে।'
এই নির্বাচক আরও জানান, 'সাকিব এমন একজন পেস্নয়ার, সে যদি খেলতে না পারে, যদি মনে করে বোলিং করতে পারবে না, তাহলে কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারে। আর সে যদি মনে করে, বোলিং-ব্যাটিং কিছুই করতে পারবে না, তাহলে সিনারিও ভিন্ন। সময় যেহেতু আছে, পরে আমরা দেখেশুনে জাজমেন্টে যাব।'
সাকিব প্রথম ইনিংসে বোলিং করেছেন ৮ ওভার ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ ওভার। রান দিয়েছেন যথাক্রমে ৪৮ ও ৭৯। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার সবচেয়ে খরুচে বোলিং। আর ব্যাট হাতে করেছেন ৩২ ও ২৫ রান।
টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবকে অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করবে। তবে দুই বিভাগে যদি আলাদাভাবে ভালো করতে না পারে, তাহলে সে শুধু ব্যাটার কিংবা বোলার হিসেবে খেলতে পারবে বলেও জানিয়েছেন জাতীয় দলের সঙ্গে এই প্রথম সফরে আসা হান্নান।
'আমরা টিম সাজাতে গেলে সাকিবকে যদি টিম কম্বিনেশনে আমাদের প্রয়োজন হয় সাকিব খেলবে। আর যদি মনে হয়, এই মুহূর্তে সাকিবকে ছাড়া সম্ভব, তবে সেটাও হতে পারে'-যোগ করেন হান্নান।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, 'খুব সাহসী প্রশ্ন! মাশাআলস্নাহ্! অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে, কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কিনা, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি। আমি চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কিনা।'