আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে আগাম ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কে হচ্ছেন পরবর্তী সভাপতি তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন। বাফুফের আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা, সেই বিষয়ে জানাতে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন তাবিথ আউয়াল। সেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাফুফের আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। বাফুফে সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবার সভাপতি নির্বাচন করবেন এমন গুঞ্জন বেশ কিছু দিন ধরেই ছিল। সালাউদ্দিন নির্বাচন না করার পর তাবিথ নির্বাচন করবেন অনুমেয় ছিল। আকস্মিকভাবে তরফদার নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা ও তাবিথের নিষ্ক্রিয়তায় খানিকটা বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়। সোমবার ঘোষণার মাধ্যমে তাবিথ সব ধূম্রজাল অপসারণ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তাবিথ আউয়াল বলেন, 'বাফুফে নির্বাচনে আমি সভাপতি নির্বাচন করতে আগ্রহী। ফুটবল সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাই। এটা আসলে আনুষ্ঠানিকতা হবে তখন যখন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করব।' ইতোমধ্যে সভাপতি পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন তরফদার রুহুল আমিন। তিনি নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিবাচক মানসিকতা প্রকাশ করেছেন, 'নির্বাচনের জন্য আমি প্রস্তুত। অংশগ্রহণমূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।' তাবিথ আউয়াল বাফুফে নির্বাচনে দুইবার সহ-সভাপতি নির্বাচিত ছিলেন। এবার সভাপতি পদে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, 'কাউন্সিলররা আমাকে দুইবার সভাপতি নির্বাচিত করেছে। আশা করি এবার সভাপতি পদেও ভোট দেবেন।' নির্বাচনের প্যানেল নিয়ে বলেন, 'আমি সভাপতি পদে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। নির্বাচনে অন্য পদে কারা ইচ্ছুক। সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্যানেল।' খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশের ফুটবল। সাফল্য আসে কালেভদ্রে। তবু ফুটবল নিয়ে এদেশের মানুষের উন্মাদনার শেষ নেই। ঢাকার বাইরে খেলা হলে দর্শকের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। গত এক বছরে ঢাকায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে সেখানেও গ্যালারিতে থাকে উপচেপড়া ভিড়। দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রে থাকলেও সবকিছু মিলিয়ে সত্যিকারের অর্থে সেভাবে সাফল্য আসছে না। ফিফার্ যাংকিংয়েও বাংলদেশের অবস্থান তলানিতে। এসবের পরও দেশের ফুটবলকে ব্র্যান্ড হিসেবে দেখছেন তাবিথ আউয়াল। কেবল ফুটবল নয়, গোটা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনই (বাফুফে) তার কাছে ব্র্যান্ড। তাবিথ আউয়াল বলেন, 'দেশের ফুটবল আসলেই ভালো জায়গায় নেই। তবে উন্নতির জায়গা আছে। মেয়েরা ভালো করেছে। তারা সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পৃষ্ঠপোষকতা বেড়েছে। ছেলেরাও চেষ্টা করছে। বড় সাফল্য না আসা এবং নানা বিতর্কে সুনাম নষ্ট হলেও বাফুফে এখনো একটি ব্র্যান্ড।' সাবেক ফুটবলার তাবিথ আউয়াল ২০১২ ও ১৬ সালে বাফুফের সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০২০ সালেও সহ-সভাপতি নির্বাচনে লড়েছিলেন তিনি। তবে মহিউদ্দিন আহমেদ মহীর সঙ্গে সমান ভোট পাওয়ার পর পুনঃনির্বাচনে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন তিনি।