ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু প্রথমার্ধে ফিনিশিংয়ের সমস্যা আরও একবার তাদের ভোগাল ভীষণভাবে। বিরতির পর নিজেদের ভুলে তারা পিছিয়েও পড়ল। তবে সেই
ধাক্কা সামলে শেষ পর্যন্ত সান্তিয়াগো বার্নাবু্যয়ে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে এস্পানিওলের বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় জয় পেল কার্লো আনচেলত্তির দল রিয়াল মাদ্রিদ।
থিবো কোর্তোয়ার আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা ফেরান দানি কারভাহাল। রদ্রিগোর দলকে এগিয়ে নেওয়া গোলে অবদান রাখার পর ব্যবধান বাড়ান ভিনিসিয়াস। পেনাল্টি থেকে শেষ গোলটি করেন আরেক তারকা কিলিয়ান এমবাপে। এদিনের এই জয়ে ৬ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা, একটি ম্যাচ কম খেলেছে তারা। আর রিয়ালের সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে আছে এস্পানিওল। দুই মৌসুম মিলিয়ে লা লিগায় এই নিয়ে টানা ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত (২৮ জয়, ১০ ড্র) থেকে রিয়াল মাদ্রিদ স্পর্শ করল রিয়াল সোসিয়েদাদের রেকর্ড। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে লিগে ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত (২২ জয়, ১৬ ড্র) ছিল সোসিয়েদাদও। স্পেনের শীর্ষ লিগে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডে এই দুই দলের ওপরে আছে কেবল বার্সেলোনা। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৪৩ ম্যাচ অপরাজিত (৩৪ জয়, ৯ ড্র)
ছিল কাতালান দলটি।
নিজেদের ঘরের মাঠে পুরো ম্যাচে রিয়ালের আধিপত্যের চিত্র মেলে পরিসংখ্যানেও। গোলের জন্য মোট ৩১টি শট নিয়ে ১৪টি লক্ষ্যে রাখে তারা। আর এস্পানিওলের ১০ শটের কেবল একটি লক্ষ্যে ছিল। ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য করা রিয়াল এগিয়ে যেতে পারত সপ্তম মিনিটে। লুকা মদ্রিচের কর্নারে এদের মিলিতাওয়ের হেড রুখে দেন এস্পানিওলের এক ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমবাপে ও জুড বেলিংহ্যামের শট অনায়াসে ঠেকান গার্সিয়া। খেলার ধারার বিপরীতে ৫৪ মিনিটে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় এস্পানিওল। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে বাইলাইনের কাছে গিলেরের বাধা এড়িয়ে শট নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড কারেয়াস। লক্ষ্যে ছিল না বল, তবে কোর্তোয়ার পায়ে লেগে জড়ায় জালে। সফরকারীদের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫৮ মিনিটে তাদের গোলরক্ষকের ভুলে সমতায় ফেরে রিয়াল। বল ধরার চেষ্টায় পারেননি গার্সিয়া, তার হাতে লেগে শরীরের নিচ দিয়ে চলে যায় গোলমুখে। ফাঁকা জালে বল পাঠান কারভাহাল।