চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় শান্ত বাহিনী। টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করেছেন
রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এর মাধ্যমে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও করেছেন তিনি।
চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনেই ৩ উইকেট তুলে নেন ৩৮ বছর বয়সি এই স্পিনার। আর রোববার নিয়েছেন আরও ৩ উইকেট। পাঁচ উইকেট পূর্ণ করার মধ্য দিয়ে তিনি ভেঙে দিয়েছেন লাথান লায়নের একটি রেকর্ড। বিশ্ব টেস্ট ইতিহাসে এতদিন যৌথভাবে সর্বোচ্চ ফাইফারের রেকর্ড ছিল লায়ন ও অশ্বিনের দখলে। আর গতকাল
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১তম ফাইফার নিয়ে
সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন অশ্বিন।
৫১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জেতা বাংলাদেশের জন্য ছিল একপ্রকার অসম্ভব। ম্যাচের তৃতীয় দিনে উইকেটের শুরুটা করেছিলেন বুমরাহ। তবে পরের তিনটি উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৮৬ রানে ৬ উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে উইকেট না পেলেও ব্যাট হাতে করেছেন সেঞ্চুরি। ১১৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হয়নি তার, তবে বল হাতে নিয়েছেন
৬ উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ টেস্টে সেঞ্চুরি-ফাইফারের কীর্তি গড়েন অশ্বিন।
তার চেয়ে বেশি ৫ টেস্টে ওই রেকর্ড আছে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ইয়ান বোথামের। এছাড়া এক টেস্টে
সর্বোচ্চ ২ বার সেঞ্চুরি ও ফাইফারের রেকর্ড আছে পাঁচজনের। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ছাড়া বাকিরা হলেন- গ্যারি সোবার্স, মুশতাক মোহাম্মদ, জ্যাক
ক্যালিস ও বরীন্দ্র জাদেজা।
টেস্টে সর্বোচ্চ ফাইফারের দিক থেকেও দুই নম্বরে আছেন অশ্বিন। তার সমান ৩৭ বার পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড আছে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্নের। টেস্টে ৬৭ বার ফাইফার নিয়েছেন শ্রীলংকান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলি ৩৬ ও আরেক ভারতীয় অনিল কুম্বলে ৩৫ বার টেস্টে ফাইফার নিয়েছেন।
টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার দিক থেকে অশ্বিন ছাড়িয়ে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশকে। তার সমান ৫১৯ উইকেট নিয়ে শনিবার যৌথভাবে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় অষ্টম স্থানে ছিলেন এই ভারতীয়। গতকাল অশ্বিন তার উইকেট সংখ্যাকে নিয়ে গেলেন ৫২২-এ। এক্ষেত্রে টেস্টে সর্বোচ্চ ৮০০ উইকেট নিয়ে সবার শীর্ষে আছেন মুরালিধরন। তারপর যথাক্রমে- ওয়ার্ন (৭০৮), জেমস অ্যান্ডারসন (৭০৪), কুম্বলে (৬১৯), স্টুয়ার্ট ব্রড (৬০৪), গেস্নন ম্যাকগ্রা (৫৬৩) ও নাথান লায়ন (৫৩০)।