মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের বাঁচা-মরার ম্যাচ আজ

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফ অনূর্ধ্ব ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচে জয় পেলেই সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হতে পারত বাংলাদেশের। কিন্তু শুক্রবার শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ভারতের কাছে ১-০ তে হেরে গেছে বাংলাদেশ। গ্রম্নপে আজ লাল-সবুজদের দ্বিতীয় ম্যাচ মালদ্বীপের বিপক্ষে সন্ধ্যা ৬টায় চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের গ্রম্নপে তিন দল হওয়াতে গ্রম্নপ পর্বে দুটি ম্যাচই খেলার সুযোগ আছে। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় আজকের ম্যাচটা তাই বাংলাদেশের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ডু অর ডাই ম্যাচে। আজ হেরে গেলেই বিদায় নিতে হবে বাংলাদেশকে। বয়সভিত্তিক এই সাফে বাংলাদেশ খেলছে গ্রম্নপ 'এ'তে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট অর্জন করে গ্রম্নপের শীর্ষে আছে ভারত। বাংলাদেশ পয়েন্টশূন্য। মালদ্বীপ এখনো মাঠেই নামেনি তাই তারাও পয়েন্টের খাতা খোলেনি। আজ মালদ্বীপকে হারিয়ে দিতে পারলে সেমিফাইনাল এক রকম নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। কারণ শেষ ম্যাচে ভারতের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়া সহজ হবে না মালদ্বীপের জন্য। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার কারণ তুলে ধরে বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারি টিটু বলেন, 'আসল বিষয়টা হচ্ছে মনোযোগ হারানো, একদম শেষদিকে এসে। ম্যাচ মানে হচ্ছে ৯০ পস্নাস মিনিট। ছেলেরা একটা পর্যায়ে গিয়ে মনোযোগটা হারায়, যখন তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ভারত বেটার টিম টেকনিক্যাল স্কিলে। যে কারণে দেখা যায় তারা সবসময় বলটা পজিশনে রাখতে পারছে তাড়াতাড়ি, সুইচ করছে সাইড, আমার মনে হয় ওই জায়গাতে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু কিছু গোলের সুযোগ আমরাও পেয়েছিলাম। আমার মনে হয় মোরশেদ যে সুযোগটা পেল গোল হলেই খেলাটা অন্য রকম হতে পারত।' 'আমি মনে করি প্রথম ম্যাচ তার মধ্যে প্রতিপক্ষ যখন ভারত সেখান থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক শেষ মুহূর্তে গোল হজম করা, তাও আবার সেটপিস থেকে। এখানে শর্ট কর্নার হচ্ছে যাওয়ার কথা দু'জন একজনও যেতে পারেনি সময় মতো। তবে আমি মনে করি যে এরা বাচ্চা বয়সের ফুটবলার। এসব জায়গা থেকে শিখে সামনে কি করানো যায় সেটা হচ্ছে বড় ব্যপার।' যোগ করেন টিটু। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শিষ্যরা ভালোই খেলেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৭ দলের কোচ, 'দ্বিতীয়ার্ধে কন্ট্রোলটা হারাই একটা পর্যায়ে গিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা কিন্তু খারাপ ছিল না। গোল স্কোরিংয়ের সুযোগগুলো এই অর্ধেই এসেছিল। কাউন্টারে আমরা ভালোই করছিলাম। আমার মনে হয় পরিবর্তনটা হচ্ছে আমার লেফটব্যাক যখন ব্যথা পেয়ে উঠে যায় তখন, সে খুব ভালো করছিল। ও যেভাবে ওভারল্যাপ করেছে এবং প্রথমার্ধে একটা বল সেইভ করেছে যেটা নিশ্চিত গোল ছিল। ওর জায়গাটাতে সেট থেকে ফুটবলারদের একটু সময় লেগেছে। সেই সঙ্গে ভারত কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন করে ফ্রেশ পেস্নয়ার নামিয়ে খেলাটায় প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছে, এটা যে কোনো কোচ করবে। এটা আসলে তাদের জন্য ক্লিক করে গেছে গোলটা। গোলটা না পেলে আমরা হয়তো একটা পয়েন্ট পেতাম। স্কিলের দিক থেকে ভারত আমাদের দিক থেকে এগিয়ে আমাদের ফুটবলারদের থেকে।'