'এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ ২০২৫ কোয়ালিফায়ার্স'-এ আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ঘাটতি নিয়েই বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ভিয়েতনাম গিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২০ দল। দেশ ছাড়ার আগে হতাশার কথাই শুনিয়ে গেছেন দলের কোচ মারুফুল হক। পূর্ণাঙ্গ দল নিয়ে মাত্র তিন দিনের প্রস্তুতিতে পরবর্তী রাউন্ডের স্বপ্নটাও দেখাতে পারেননি। তবে নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন। আজ শক্তিধর সিরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কোয়ালিফায়ার্স রাউন্ড শুরু করতে যাচ্ছে মারুফুল হকের শিষ্যরা। ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় ফুটবল দল বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের পৌঁছেছে। সেখানে হাইপং শহরের দ্যা সাইন হোটেলে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার প্রায় ৪৫ মিনিট অনুশীলন করেছে। তবে বৃষ্টি থাকায় শুক্রবার কোনো দলই ম্যাচ ভেনু্যতে অনুশীলনের সুযোগ পায়নি। বাংলাদেশ দলের শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা অনুশীলন করার কথা রয়েছে বলে ভিয়েতনাম থেকে জানিয়েছে বাফুফে। 'এ' গ্রম্নপে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে স্বাগতিক ভিয়েতনাম, সিরিয়া, গুয়াম ও ভুটান। ১০ গ্রম্নপের ১০ চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে পাঁচ রানার্স আপ খেলবে চূড়ান্ত পর্বে।
কদিন আগে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশ জিতেছিল মারুফুলের হাত ধরে। সেই সাফল্য নিয়ে ফেরার পর এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ভুটানের বিপক্ষে জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ, বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের ছুটি মিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ দল নিয়ে মারুফুল প্রস্তুতিই নিতে পেরেছেন মাত্র তিন দিন! বলতে গেলে 'জোড়াতালি' দিয়ে দল গুছিয়ে বৃহস্পতিবার ভিয়েতনাম গিয়েছেন মারুফুল। সেখানে পৌঁছার মাত্র একদিন পরই মাঠে নামতে হচ্ছে ম্যাচ খেলতে। মানে সেখানেও প্রস্তুতির সুযোগ মিলেনি। শুক্রবার ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মারুফুল ভিয়েতনামকে তাদের আতিথিয়তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, 'এখানে আমরা প্রায় দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে এসেছি। এই টুর্নামেন্টে অন্যান্য দলগুলো খুবই শক্তিধর। আমরা আমাদের সেরাটা দিতেই চেষ্টা করব।'
প্রস্তুতি ঘাটতি থাকলেও গ্রম্নপের অন্যান্য দল সম্পর্কে ধারণা আছে বাংলাদেশের। ভিয়েতনামে যাওয়ার আগে গ্রম্নপের অন্যান্য প্রতিপক্ষ সম্পর্কে মারুফুল বলেছিলেন, 'আমি ভিয়েতনাম, ভুটানের খেলা খুব কাছ থেকে দেখেছি, গুয়াম আমাদের থেকে একটু পিছিয়ে। আমরা ভিয়েতনাম ও সিরিয়াকে আমাদের মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছি। তাদের খেলা দেখেছি, এবং তাদেরকে হারানো সম্ভব। তাদের কাছ থেকে ৩ বা ১ পয়েন্ট পাওয়া আমাদের এই দলের জন্য কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু সব ঘাটতি মিলিয়ে আমি এখন কোনো আশ্বাস দিতে পারছি না।'
কোচ তেমন আশা না দেখালেও অধিনায়ক আশরাফুল হক আসিফ আশাবাদী, 'আসলে আমরা গত যে টুর্নামেন্ট খেলেছি (সাফ অনূর্ধ্ব-২০), সেখানে আমরা কম্বাইন্ড টিম ছিলাম। ওই দলের চার-পাঁচজন খেলোয়াড় এই দলে নেই। নতুন যারা এসেছে, আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, ইনশালস্নাহ আমরা কোয়ালিফাই (করব) চার-পাঁচজন না থাকায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে, নতুন যারা এসেছে তারা ইনশালস্নাহ ওই গ্যাপটা পূরণ করবে বলে আমি মনে করি।'
দলের ম্যানেজারও জানিয়েছেন দলে কোনো ইনজুরির সমস্যা নেই। সবাই সুস্থ আছে। ভালো ফলাফলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে বাংলাদেশ দল।