আটালান্টার সঙ্গে আর্সেনালের পয়েন্ট ভাগাভাগি
প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
চোখের পলকে অসাধারণ দুটি সেভ করলেন গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। মহাবিপদের হাত থেকে বেঁচে গেল তার দল। নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে না পারলেও, আটালান্টার মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরল আর্সেনাল। গোলরক্ষক বীরত্বে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে হার এড়ালো আর্সেনাল। বৃহস্পতিবার রাতে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে গানাররা।
অপরদিকে আরবি লিপজিগের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ইউরোপিয়ান অভিষেকে একই স্কোরে স্তার্ম গ্রাজকে হারালো ব্রেস্ত। দুই তুর্কির গোলে রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে বেনফিকা। আর জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুজেন ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফেনুর্দকে।
প্রতিপক্ষের মাঠে চোট শঙ্কা কাটিয়ে ফেরা বুকায়ো সাকার নৈপুণ্যে ১৩ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো আর্সেনাল। তার রক্ষণ দেয়াল ভেদ করে নেওয়া নিচু ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান গোলরক্ষক মার্কো। আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রথম আধা ঘণ্টায় একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে অধিনায়ক মার্টিন ওডেগোরকে ছাড়া খেলতে নামা আর্সেনাল। যদিও এই সময়ে আর কোনো পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। এরপর পজেশন ধরে রেখে খেলায় মনোযোগী হয় আটাল্ন্টা। কিন্তু, বিরতির আগে দুই গোলরক্ষকের কেউই পরীক্ষা নিতে পারেনি।
টমাস পার্টিকে কাটিয়ে বক্সের বাঁ দিক দিয়ে বল পায়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এদেরসন। তাকে পেছন থেকে আর্সেনালের পার্টি ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপরই রায়ার ওই নৈপুণ্য; মাতেও রেতেগির স্পট কিক তিনি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরালেও বিপদমুক্ত হয়নি, ফিরতি বলে ফের শট নেন রেতেগি, অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় এবার বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে গোললাইন থেকে ফেরান স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ৬৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি ছড়ায় আটলান্টা। সাত মিনিট আগে বদলি নামা হুয়ান কুয়াদরাদোর ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়।
ছয় মিনিট পর সাকাকে বসিয়ে রাহিম স্টার্লিংকে নামান কোচ আর্তেতা। এতেই একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চারটি ভিন্ন ইংলিশ দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাঠে নামার অনন্য কীর্তি গড়লেন এর আগে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির হয়ে খেলা এই ফুটবলার। দুই মিনিট পর অ্যাসিস্টের খাতায়ও নাম লেখাতে পারতেন স্টার্লিং। কিন্তু তার থ্রম্ন পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে উড়িয়ে মারেন গাব্রিয়েল মার্তিনেলিস্ন। বাকি সময়ে আর কেউ তেমন কিছু করতে না পারায়, পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে আটালান্টা ও আর্সেনাল।