একটি সিরিজ ঘিরে দর্শক আগ্রহ তুঙ্গে থাকবে, তা স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজটি নিয়ে কেবল বাংলাদেশি দর্শকের মধ্যে নয়, তুমুল আগ্রহ ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে। এর আগেও ভারতের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। এতটা সম্ভাবনা ও আত্মবিশ্বাস সঙ্গী ছিল না। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করার পর বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। যদিও ভারতের মাটিতে পরীক্ষা যে কঠিন হবে, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
দুটি টেস্ট ও তিনটি টি২০ খেলতে ইতোমধ্যে ভারত পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। গত সোমবার প্রথম দিনের অনুশীলনও সারে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু প্রথম টেস্ট। হাতে খুব বেশি সময় নেই। বসে নেই বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার সকাল থেকেই অনুশীলন করেছেন শান্ত-মুশফিকরা।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পুরো দল নিয়ে অনুশীলন শুরু করেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ব্যাটাররা নেটে নিমগ্ন ব্যাটিংয়ে, বোলাররা নিবিড়ভাবে ঝালাই করছেন বল হাতে। প্রতি বিভাগের কোচরা দিচ্ছেন নিদের্শনা। রোদ ঝলমল আকাশের নিচে বাংলার ক্রিকেটাররা তৈরি হচ্ছেন ওড়ার জন্য। ভারতকে তাদের মাটিতে টেস্টে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে পারা তো আকাশে ওড়ার আনন্দই দেবে।
পা অবশ্য মাটিতে রাখছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। পাকিস্তান ও ভারত, সম্পূর্ণ আলাদা দুটি দল। তা ভালো করেই জানে বাংলাদেশ। পুরো দল গভীর মনোযোগে অনুশীলন করলেও দলের সঙ্গে যোগ দেননি সাকিব আল হাসান। লন্ডনে কাউন্টি ক্রিকেট শেষ করেই যোগ দেওয়ার গুঞ্জন থাকলেও এখনও ভারতে পৌঁছাননি তিনি। প্রথম টেস্টের আগেই যোগ দেওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে তার। বল হাতে ছন্দে থাকা সাকিবের চেন্নাই টেস্টে খেলার সম্ভাবনাই বেশি।