বাফুফের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা
প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাফুফে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন করবেন না। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সভাপতি পদে প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে। সেখানে ফুটবল সংগঠক তরফদার রুহুল আমিনের নাম ঘোষণা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর এক হোটেলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতির নাম ঘোষণা হয়। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম তপন এ অনুষ্ঠানে বলেন, 'জেলা ও ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে তরফদার রুহুল আমিনকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। ফুটবল ফেডারেশন জেলা পর্যায়ে লিগ পরিচালনা করতে সহায়তা করেনি। উনার সহায়তায় জেলায় লিগ হয়েছে।' একই মঞ্চ থেকে তরফদার রুহুল আমিন জানান, আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থিতা তিনি গ্রহণ করেছেন। গতকালকের অনুষ্ঠানের মঞ্চে সাবেক তারকা ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক, সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বিরসহ আরও অনেকে ছিলেন। মঞ্চে না থাকলেও এ অনুষ্ঠানে ছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, ডাকসুর সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকন এ ছাড়া বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা, সাবেক খেলোয়াড়রা। তরফদার রুহুল আমীন তার বক্তব্যে বলেছেন, 'যে ঘোষণা তারা দিয়েছেন, আমি তা সাদরে গ্রহণ করলাম। ফুটবলের সেই দিনগুলো নেই, হারিয়ে গেছে। ২০০৮-এর পর ফুটবল তলানিতে গেছে। ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দল। এরপর থেকে হারতে হারতে নিচের দিকে আছি। এখনর্ যাঙ্কিং ১৮৪-তে এসেছে। এখান থেকে ওঠানো কঠিন। মাঠের খেলা টেবিলে চলে এসেছে। সারাদেশে এর চর্চা হলে ঠিকই বিশ্ব মানচিত্র জায়গা করে নেওয়া যেত।'
তিনি আরও বলেন, 'গত ১৬ বছর ফুটবলকে জাগতে দেওয়া হয়নি। আমি ফুটবল নিয়ে অনেক কাজ করেছি, জেলা ও বিভাগে। প্রচুর খেলোয়াড় উঠে এসেছে। ওই সময় প্রতিকূল অবস্থায় কাজ করেছি। বাফুফে চায়নি আমরা কাজ করি। ১৮ কোটি দেশের লোক সীমানা পার হতে পারি না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না।' নিজের কথা বলতে গিয়ে এই সংগঠক বলেছেন, '২০২০ সালে প্যানেল তৈরি করে এগোলাম। দেশেও থাকতে পারলাম না। অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়িক দিক দিয়ে। এজেন্সি দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। সাইফ স্পোর্টিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।' ফুটবলে সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারলে প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে তিনি বলেছেন, 'আমি নির্বাচিত হলে তৃণমূল পর্যায়ে শুরু করব। ফুটবলকে এসি রুমে রাখব না। বিকেন্দ্রীকরণ করব। নতুন করে জাগরণ তৈরি করব। চার বছরে কী করব, সেটাও বলব।'
তরফদার রুহুল আমিন মূলত ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তার ফুটবলাঙ্গনে পথচলা শুরু। ২০১৬-২২ পর্যন্ত ফুটবলে অনেক অর্থের বিনিয়োগ করেছেন। বসুন্ধরা কিংসের আগে তিনিই প্রথম পেশাদার ফুটবল ক্লাব সাইফ স্পোর্টিং গড়েন। সেই ক্লাব থেকে জাতীয় ফুটবল দলে এখন অনেকেই প্রতিষ্ঠিত। জেলা-বিভাগীয় পর্যায়ে ফুটবল ফেডারেশন অর্থ সেভাবে দেয়নি কখনো।
তরফদার রুহুল আমিনের অর্থায়নে জেলা-বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ২-৩ বছর খেলা পরিচালনা করেছে। ফুটবল ফেডারেশনে আনুষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও মহানগর ক্লাব পর্যায়েও অনেক অর্থ প্রদান করেছেন এই সংগঠক। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে সাইফ স্পোর্টিং সিনিয়র ও জুনিয়র দুই ক্লাবই ফুটবল থেকে প্রত্যাহার করে। এবার সেই সভাপতি নির্বাচন না করার ঘোষণা দিতেই সামনে এলেন তরফদার রুহুল আমিন।