পেসার নাহিদকে সামলাতে বিশেষ প্রস্তুতি ভারতের

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
টাইগার পেসার নাহিদ রানা
প্রতিপক্ষ দলের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে ক্রিকেটে কাজ করার রীতি নতুন নয়। বিশেষত সফল কোচদের এ নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা করতে দেখা যায়। ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীরও তেমনটাই করছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজকে কেন্দ্র করে। দেশটির সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, স্পিন-পেসার মোকাবিলা ও সব কন্ডিশন মাথায় রেখে দুই রকম পিচে অনুশীলন করছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা। সাম্প্রতিক সময় পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পথে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশের পেসারদের। যাদের মধ্যে ভারতীয়দের কাছে অচেনা কেবল নাহিদ রানা। তাই সিরিজে তার বোলিং মোকাবিলায় যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সে কারণে তার উচ্চতাসম্পন্ন পেসারকে অনুশীলনে ডেকেছে। টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুতেই ঝলক দেখিয়েছেন টাইগার পেসার নাহিদ রানা। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে জোরে বল করার রেকর্ড গড়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি। ফুরফুরে মেজাজে থাকা এই ক্রিকেটারকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ভারত। আসন্ন সিরিজে নাহিদকে সামলাতে বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিরাট কোহলিরা। সাধারণত ম্যাচের আগে কাল্পনিক পরিস্থিতি তৈরি করে অনুশীলন করেন ক্রিকেটাররা। হরহামেশাই এমনটা দেখা যায়। এবার নাহিদ রানাকে সামলাতে চেষ্টার কমতি রাখছে না স্বাগতিকরা। ধারণা করা হচ্ছে, চেন্নাইয়ের উইকেট এবার হতে পারে পেসবান্ধব। যেখানে ভারতীয় পেসারদের পাশাপাশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের নাহিদও। তাইতো নাহিদকে মোকাবিলায় আনা হয়েছে পাঞ্জাবের পেসার গুরনুরকে। যার উচ্চতা প্রায় নাহিদের সমান। বাংলাদেশের নাহিদের উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। ফলে অনেক উচ্চতা থেকে বল ছাড়েন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। বেশি উচ্চতা থেকে ছাড়ার কারণে তার বলের লেংথ এবং বাউন্সও আলাদা হয়। সেটারই মোকাবিলা করতে চাইছে ভারত। জানা গেছে, গুরনুর এখনো পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন। উলেস্নখযোগ্য সাফল্য নেই। গত বছর আইপিএলের দল পাঞ্জাব কিংসেও ছিলেন। মূলত ৬ ফুট ৪.৫ ইঞ্চি উচ্চতা হওয়ার কারণে তাকে চার দিনের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। লম্বা-চওড়া হওয়ায় তিনি পিচ থেকে বাউন্স আদায় করে নিতে পারেন। চেন্নাইয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ শুরু হবে। এখানকার লালচে পিচ সাধারণত স্পিন ঘরানার হয়ে থাকে, তবে চেন্নাইয়ের পিচের চরিত্রে বদল হতে পারে এবার। এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ঘূর্ণি উইকেটের পরিবর্তে জসপ্রীত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজদের কথা মাথায় রেখে এমন পিচ তৈরি করা হতে পারে, যেখানে পেসার এবং স্পিনার উভয় বোলারই সুবিধা পাবেন। ফলে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের নাহিদও। তারই মোকাবিলায় আনা হয়েছে গুরনুরকে। এদিকে বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে ভারতীয় দলে মূল দায়িত্ব শুরু হবে বোলিং কোচ মরনে মরকেলের। সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারের অধীন তরুণ পেসার আকাশ দ্বীপ ও যশ দয়ালরা ভালো করতে মুখিয়ে আছেন।