ফেডারেশন সংস্কার-পুনর্গঠনের পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা আনার চেষ্টা করছে। স্টাফদের দপ্তর বদল, সম্পদ বিবরণী চাওয়া, ফেডারেশনের পদ থেকে এনএসসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ করেছে। এবার এনএসসির চার স্টাফকে শোকজ করা হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরকারি প্রতিষ্ঠান। অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরকারি বরাদ্দ পায়, যা খাতওয়ারি কোডভিত্তিক। এর বাইরেও ক্রীড়া পরিষদের নিজস্ব আয়ের মাধ্যম রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সংশ্লিষ্ট কোড হতে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অনুমোদনের ভিত্তিতে অর্থ শাখার ক্যাশিয়ার সাইফুল ইসলামের অনুকূলে ৬ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করা হয়। ঐ অগ্রিম তিনি ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সমন্বয় করেননি। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটায় তাকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (কর্মকর্তা-কর্মচারী) ১৯৯৫ বিধিমালা অনুসারে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ হবে না এই মর্মে পত্র প্রাপ্তির ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম ৬ লাখ টাকার সমন্বয় করেননি। এই টাকা সমন্বয়ের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় হিসাব শাখার কম্পিউটার অপারেটর জিলান হায়দার, বাজেট শাখার বাজেট কাম অডিট অফিসার তাজুল ইসলাম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ফরিদা ইয়াসমিনকেও শোকজ করা হয়েছে।