হার দিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের নতুন আসর শুরুর পরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধারায় অটল থাকলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। তবুও জয় পেতে খুব একটা ভাবতে হলো না তাদের। বেলজিয়ামকে অনায়াসেই হারাল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে সোমবার রাতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। প্রথমার্ধে রান্দাল কোলো মুয়ানি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান উসমান দেম্বেলে।
লিগ 'এ'র দুই নম্বর গ্রম্নপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। একই ব্যবধানে ইসরাইলকে হারিয়েছিল বেলজিয়াম। দুই ম্যাচে প্রথম জয়ে ফ্রান্সের পয়েন্ট হলো বেলজিয়ামের সমান- ৩। এদিনই আরেক ম্যাচে ইসরাইলকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করল ইতালি।
আগের ম্যাচে কেবল ১৩ সেকেন্ডে গোল পাওয়া ফ্রান্স এবার নিজেদের গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেয়। সেই সময়ে তাদের বেশ চেপে ধরে বেলজিয়াম। সপ্তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা। কেভিন ডি ব্রম্নইনের ক্রস একটু বাড়তি লাফানোয় সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ডোডি লুকেবাকিয়ো। দ্রম্নত এগিয়ে এসে তার শট ঠেকান ফ্রান্স গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ। কিলিয়ান এমবাপে, আতোঁয়ান গ্রিজমানদের বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজানো ফ্রান্স ম্যাচের ১৪ মিনিটে গোলের জন্য প্রথম শট নিতে পারে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মাত্তেও গেনদুজির শট সহজেই ফেরান বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
চার মিনিট পর একইভাবে চেষ্টা করেন বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড লোইস ওপেন্ডা। তৎপর মিয়াঁ ঠেকান অনায়াসেই। ২৯ মিনিটে দেম্বেলের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান বেলজিয়াম গোলরক্ষক। ফিরতি বলে জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন মুয়ানি। এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুটি সুযোগ পান মানু কোনে। ৫৩ ও ৫৫তম মিনিটে রোমার ফরাসি মিডফিল্ডারের দুটি শটই বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
আর এই অর্ধে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। ৫৭ মিনিটে ডি-বক্সে বল পেয়ে পায়ের কারিকুরিতে বেলজিয়ামের তিন খেলোয়াড়কে এড়িয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন দেম্বেলে। চার্লস ডি কেটেলারে বদলি নামার পর গতি বাড়ে বেলজিয়ামের আক্রমণের। ৭০তম মিনিটে আটালানাটা। ফিরিয়ে দেন মিয়াঁ। কয়েক সেকেন্ড পর কেভন ৫তম মিনিটে বাহলি বার্কোলার শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি বেলজিয়াম গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর তিনি ঠেকিয়ে দেন এমবাপের জোরাল শট।