চোখের পলক পড়ার আগে ফ্রান্সের গোল, ম্যাচ জিতল ইতালি
প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
রেফারি ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজালেন। চোখের পলক না পরতেই ইতালির জালে বল! প্যারিসের গ্যালারিতে তখন ফরাসি সমর্থকদের উলস্নাস। তবে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ফ্রান্স। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের নতুন আসরে শুভসূচনা করেছে ইতালি। প্যারিসে 'এ' লিগের দুই নম্বর গ্রম্নপের ম্যাচে ফ্রান্সকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইতালি। নিজেদের ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম মিনিটেই ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন বারকোলা। সতীর্থের ব্যাক-পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে অপেক্ষায় ছিলেন ইতালির ডিফেন্ডার জিওভান্নি দি লরেন্সো। তার সামনে থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন বারকোলা। ডান পায়ের শটে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ১৩ সেকেন্ডে করা এই গোলটি ফ্রান্সের ইতিহাসে এবং নেশন্স লিগে দ্রম্নততম। ফ্রান্সের হয়ে আগের দ্রম্নততম গোলের রেকর্ড ছিল বের্নাদ লাকুম্বের। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে গ্রম্নপপর্বে ইতালির বিপক্ষেই ৩৭ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে নেশন্স লিগে এই রেকর্ডটি ছিল সুইজারল্যান্ডের হারিস সেফেরোভিচের। তিনি ২০২২ সালে পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচের ৫৭ সেকেন্ডে গোলটি করেছিলেন। ম্যাচের শুরুতে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে ইতালি। অবশ্য ষষ্ঠ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারত তারা। সতীর্থের হেড পাসে কাছ থেকে ডিফেন্ডার ফ্রাত্তেসির হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে মাতেও রেতেগির হেড চলে যায় ওপর দিয়ে।
পরের মিনিটে সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। এমবাপের নিচু শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা। ৩০ মিনিটে চমৎকার গোলে সমতায় ফেরে ইতালি। টোনালির ফ্লিকে বল পেয়ে দারুণ ভলিতে জাল খুঁজে নেন ডিমারকো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রাসপাদোরির শট ঠেকান ফ্রান্সের গোলরক্ষক মাইক মাইগনান। ৫০তম মিনিটে দারুণ আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় ইতালি। রেতেগির পাসে ছুটে গিয়ে বক্সে প্রথম স্পর্শে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ফ্রাত্তেসি। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইতালি। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে ফরাসি ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রাসপাদোরি। এর মাধ্যমে ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় পেল ইতালি।
মাঝে তিন ম্যাচের দেখায় সবগুলোতেই হেরেছিল ইতালি। গ্রম্নপের আরেক ম্যাচে ইসরায়েলকে ৩-১
গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। ম্যাচে জোড়া গোল
করেন কেভিন ডি ব্রম্নইন।