ইউএস ওপেন
যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ বছরের অপেক্ষা ঘোচালেন ফ্রিটজ
প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
অ্যান্ডি রডিক ২০০৩ সালে ইউএস ওপেন জয়ের সময় টেলর ফ্রিটজ ৫ বছরের বালক। রডিকের সেই জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় গ্র্যান্ড স্স্নাম জিততে পারেননি।
ছয় বছর পর ২০০৯ সালে উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেন রডিক। গ্র্যান্ড স্স্নামে ছেলেদের এককে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো খেলোয়াড়ের ফাইনালে ওঠার সেটাই ছিল সর্বশেষ নজির। ১৫ বছর পর এবার ইউএস ওপেন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই খরা কাটালেন ফ্রিটজ। নিউইয়র্কে গতকাল ছেলেদের এককে সেমিফাইনালে ফ্রান্সিস তিয়াফোকে ৪-৬, ৭-৫, ৪-৬, ৬-৪, ৬-১ গেমে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেনর্ যাংকিংয়ে ১২তম যুক্তরাষ্ট্রের এই খেলোয়াড়।
আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ছেলেদের এককের ফাইনালে ফ্রিটজের প্রতিপক্ষ ছেলেদেরর্ যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানীয় ইতালির ইয়ানিক সিনার। অন্য সেমিফাইনালে ব্রিটেনের জ্যাক ড্রাপারকে ৭-৫, ৭-৬ (৭/৩), ৬-২ গেমে হারিয়ে প্রথম ইতালিয়ান পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ী সিনার।
তিয়াফোর কাছে প্রথম সেটে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের সেট জিতে নেন ফ্রিটজ। তৃতীয় সেটে আবার হারলেও শেষ দু'টি সেট জিতে ঠিকই ফাইনালে উঠেন ২৬ বছর বয়সি ফ্রিটজ। ১৬তম 'এইস' মেরে জয়ের পর ফ্রিটজ বলেন, 'শুরুতেই সে দাপট দেখিয়েছে এবং আমিও কিছুটা এলোমেলো হয়ে পড়েছিলাম। নিজেকে শুধু বলেছি, টিকে থাকো, সার্ভিসগুলো ঠিকমতো করে স্কোরবোর্ডের ওপর চাপ বাড়াও। টিকে থাকতে যা যা সম্ভব সবই করেছি। যদি তা না করতাম, তাহলে আফসোসটা সব সময়ই থেকে যেত। ফাইনালে সর্বস্ব নিংড়ে দিব।'
সেমিফাইনালে বেশির ভাগ সময় তিয়াফোই দাপট দেখিয়েছেন। কিন্তু চতুর্থ সেটে নেটের কাছে আলসেমি করে ড্রপ শট মিস করার পর তার খেলা এলোমেলো হয়ে পড়ে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। পঞ্চম ও চূড়ান্ত সেটে খেলা হয়েছে ২৭ মিনিট। এই সেটে মাত্র ৯ পয়েন্ট তুলে নিতে পেরেছেন তিয়াফো। এ নিয়ে ইউএস ওপেনে সর্বশেষ তিনবারে দু'বারই সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়লেন তিনি, 'এটা হজম করা কঠিন। কষ্ট দেবে। ভেবেছিলাম, আমিই ভালো খেলছি। কিন্তু
চতুর্থ সেটে গিয়ে ক্রাম্পের শিকার হই। শরীর
এক রকম শাটডাউন হয়ে গিয়েছিল। এটা স্নায়ুর
\হওপরও প্রভাব ফেলেছে।'
তিয়াফো-ফ্রিটজ মুখোমুখি হওয়ার আগে সিনার-ড্রাপারের সেমিফাইনাল ম্যাচ তিন ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছে। ২০১২ সালে অ্যান্ডি মারের পর প্রথম ব্রিটিশ পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠা ড্রাপার ১০টি ডাবল ফল্টস ও ৪৩টি আনফোর্সড এরর করে হেরে যান। শুধু তাই নয়, ড্রাপার শারীরিকভাবেও সুস্থ ছিলেন না। দ্বিতীয় সেট চলাকালে কোর্টেই তিনবার বমি করেছেন।