ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। হতাশার টুর্নামেন্ট শেষে প্রথমবার পর্তুগালের জার্সি গায়ে গোলখরা কাটালেন সিআরসেভেন। আর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৯০০তম ক্যারিয়ার গোল করলেন তিনি। ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেওয়া দিয়োগো দালোত পরে হলেন আত্মঘাতী। তবে রোনালদোর বিশেষ অর্জনের রাতে হতাশ হতে হয়নি তাদের।
ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে শুভসূচনা করল পর্তুগাল। লিসবনে বৃহস্পতিবার রাতে 'এ' লিগের এক নম্বর গ্রম্নপের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে রবার্তো মার্টিনেজের দল পর্তুগাল। দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি করে ক্যারিয়ারে ৯০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোনালদো। এই গ্রম্নপের রাতের অন্য ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে পোল্যান্ড। আগামীকাল রোববার পর্তুগাল পরের ম্যাচে স্বাগত জানাবে স্কটল্যান্ডকে। আর ক্রোয়েশিয়া খেলবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে। দিয়াগো দালোত সপ্তম মিনিটে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন। ব্রম্ননো ফার্নান্দেসের পাস তাকে পথ তৈরি করে দেন। বোর্না সোসাকে পেছনে ফেলে পর্তুগিজ ডিফেন্ডার সামনে এগিয়ে কিপারের পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে বল ঠেলে দেন। ইউরোতে পাঁচ ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে গোল করতে ব্যর্থ হওয়া রোনালদো অবশেষে জালের দেখা পান। ৩৪ মিনিটে নুনো মেন্দেসের ক্রসের গতি বুঝে ক্রোট ডিফেন্ডারের নজর এড়িয়ে ডান পায়ে ট্যাপ করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ক্যারিয়ারে রোনালদোর গোল হলো ৯০০টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের রেকর্ড গোলদাতার জাতীয় দলের হয়ে গোল হলো ১৩১। ক্রোয়েশিয়া বিরতির চার মিনিট আগে একটি গোল শোধ দেয়। সোসার প্রচেষ্টা দালোতের গায়ে লেগে আত্মঘাতী গোল হয়। দ্বিতীয়ার্ধ দুই দলের কেউ আর গোল করতে পারেনি। তাতে জয় দিয়ে নেশন্স লিগ শুরু হয়েছে পর্তুগালের। উপলক্ষ কতটা স্মরণীয়, সেটি ফুটে উঠল তার উদযাপনেই। কিছুদিন ধরেই যেটি নিয়ে চলছিল তুমুল আলোচনা, রোমাঞ্চ, কৌতূহল, যে আশা নিয়ে তিনি শুরু করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচটি, সেটি পূরণ হলো ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে। পৌঁছে যান তিনি ৯০০ গোলের ঠিকানায়। ম্যাচের পর রোনালদো বলেন, এই সংখ্যায় তার চোখ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। অসংখ্য অর্জনে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে এই মাইলফলক যে তার কাছে বিশেষ একটি, সেটিও জানিয়ে দিলেন ৩৯ বছর বয়সি তারকা, 'এটা আমার কাছে অনেক কিছু। অনেক দিন ধরেই এই মাইলফলকে দৃষ্টি ছিল আমার। জানতাম, একদিন এখানে পৌঁছাতে পারবই। কারণ, খেলা চালিয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই এটা ধরা দেবে।'