সিলেট বিভাগ
খোয়াই নদী
খোয়াই নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৬৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১০৬ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। খোয়াই নদী ভারতের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। এর উৎপত্তিস্থল ত্রিপুরার আঠারমুড়া পাহাড়। এটি ত্রিপুরার তৃতীয় দীর্ঘতম নদী। সেখান থেকে নদীটি উত্তর-পশ্চিম মুখে প্রবাহিত হয়ে সিলেট জেলার বালস্না নামক স্থান দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। নদীটি হবিগঞ্জ জেলার পূর্বপ্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ভারতের খোয়াই এলাকার ভেতর দিয়ে নদীটি বাংলাদেশে এসেছে বলে ঐ এলাকার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে 'খোয়াই'।
জুরি নদী
জুরি নদী বা জুরী নদী বা জড়ী নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৭৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৩ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।
জুরি নদী অববাহিকার আয়তন ৬২৯ বর্গকিলোমিটার। নদীটিতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে। তবে বর্ষায় সাধারণত একটু বন্যা হলেই নদীর দুপাশের অঞ্চল পস্নাবিত হয়। বর্ষাকালে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৭ ঘনমিটার/সেকেন্ড হয়। এই নদীর তীরে অবস্থিত জুরিবাজার।
জুরি নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব অংশের পাহাড়িয়া অঞ্চলে উৎপত্তি লাভ করে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ধর্মনগর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ধর্মনগর থেকে শুরু করে বেশ কিছুদূর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর উত্তর দিকে প্রবাহিত হওয়ার পর কুলাউড়া উপজেলার মধ্যদিয়ে আরো উত্তরে গিয়ে হাকালুকি হাওড়ের মধ্যদিয়ে পশ্চিম দিকে ঘুরে গিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের নিকট কুশিয়ারা নদীতে পতিত হয়েছে।
ধনু নদী
ধনু নদী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২২৮ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।
ধনু নদীর গভীরতা ৮ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ৭০০ বর্গকিলোমিটার। নদীটির পানিপ্রবাহ সারাবছরই থাকে। তবে ফেব্রম্নয়ারি মার্চে তা কমে যায়।। বর্ষা মৌসুমে জুলাই-আগস্টে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। জোয়ার-ভাটার প্রভাবমুক্ত হলেও বন্যায় নদীটি পস্নাবিত হয়।
ধনু নদী সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহিত বাউলাই বা বালু নদী হতে উৎপন্ন হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় মেঘনা নদীতে মিশেছে। নদীটির প্রবাহপথে মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ি, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, বাজিতপুর, ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলা রয়েছে। নদীতীরের উলেস্নখযোগ্য শহর হচ্ছে খালিয়াজুড়ি ইটনা, মিঠামইন।