একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র
প্রকাশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আতাউর রহমান সায়েম, সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
প্রশ্ন :অনুপম নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি কেন?
উত্তর : সাহসের অভাবে অনুপম নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি।
অনুপমের প্রকৃত অভিভাবক ছিলেন মামা। মা ও মামার কথার বাইরে সে নিজ থেকে কোনো কথা বলতে পারত না। কারণ অনুপম ছোটবেলা থেকে এমনভাবে বড় হয়েছে যে, নিজের কোনো মতামত বা ইচ্ছা পোষণের সাহস ছিল না। তাই বিয়ের সময়ও সে নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি।
প্রশ্ন : মামা কেন শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন?
উত্তর : যৌতুকের গহনাগুলো যাচাই করে দেখার কথা বলার জন্য মামা শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
মামা ছিলেন চতুর প্রকৃতির লোক। তাঁর জীবনের সংকল্প ছিল জীবনে কারো কাছে ঠকবেন না। শম্ভুনাথ সেন গহনা কম দিয়ে বা খাদযুক্ত গহনা দিয়ে তাঁকে ঠকাতে পারেন। এরূপ ভাবনা থেকেই তিনি গহনাগুলো যাচাই করে দেখতে চান। আর এজন্যই শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
প্রশ্ন : শম্ভুনাথ বাবু কেন অনুপমকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন?
উত্তর : মেয়ের গহনা যাচাইয়ের ব্যাপারে অনুপমের মতামত জানার জন্য শম্ভুনাথ বাবু তাকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
শম্ভুনাথ বাবু ছিলেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। তাই মামা গহনা যাচাইয়ের কথা বললে তিনি খুব কষ্ট পান। তিনি ভেবেছিলেন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত অনুপমও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ এবং সে গহনা যাচাইয়ের ব্যাপারে নেতিবাচক মতামত পোষণ করবে। এরূপ ভাবনা থেকেই তিনি অনুপমকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
প্রশ্ন : মামা কেন অবাক হয়ে গেলেন?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেন মেয়েকে পাত্রস্থ করতে না চাওয়ায় মামা অবাক হয়ে গেলেন।
মামা কনের গহনা যাচাই করে দেখতে চাওয়ায় শম্ভুনাথ সেন খুব কষ্ট পান এবং তাঁর আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। আর বরও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। তাই তিনি মামাকে গহনা যাচাই করে দেখান এবং বলেন যে সম্পর্কটা স্থায়ী করার ইচ্ছা নেই। আর এ কথা শুনে মামা অবাক হয়ে যান।
প্রশ্ন : অনুপমের মন পুলকের আবেশে ভরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কল্যাণী বিয়ে না করার পণ করেছে এ কথা শুনে অনুপমের মন পুলকের আবেশে ভরে যায়।
অনুপম কল্যাণীর বিয়ে না হলেও তারা কেউ কাউকে ভুলতে পারেনি। অনুপম সবসময় প্রত্যাশা করত কল্যাণী তার কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু মনে মনে কল্যাণী অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার শঙ্কায় শঙ্কিত থাকত। কিন্তু যখন শুনতে পেল যে, কল্যাণী বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে, তখন তার মন পুলকের আবেশে ভরে যায়।
প্রশ্ন : বরযাত্রীদের কপাল চাপড়ানোর কারণ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : কনের বাপ বরযাত্রীদের ফাঁকি দিয়ে খাইয়ে দিয়েছে। এজন্য তারা কপাল চাপড়াতে থাকে।
মামার অনৈতিক প্রস্তাবে শম্ভুনাথ সেন স্থির করেন মেয়েকে অনুপমের সাথে বিয়ে দেবেন না। কিন্তু বরযাত্রীদের বিষয়টা বুঝতে দেন না। তিনি তাদের সসম্মানে খাইয়ে দেন এবং তারপর বিদায় করে দেন। আর এজন্যই বরযাত্রীরা কপাল চাপড়াতে থাকে।
প্রশ্ন : শেষ পর্যন্ত গল্পকথকের বয়স পুরোপুরি হলো না কেন?
উত্তর : গল্পকথক শিশুকালে কোলে কোলেই মানুষ হয়েছে বলে শেষ পর্যন্ত তার বয়স পুরোপুরি হলো না।
গল্পকথক তার মায়ের একমাত্র সন্তান। তাই সে খুব আদর-যত্নে মানুষ হয়েছিল। আর মামার কারণে তার সংসারের কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে হতো না। সবকিছু মিলিয়ে মানসিক দিক দিয়ে অপরিপক্ব থেকে যায়।
প্রশ্ন : শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় কীভাবে গলেছিল?
উত্তর : অনুপম মাথা হেঁট করে হাত জোড় করায় শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় গলেছিল।
শম্ভুনাথ সেন মামার আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কল্যাণীকে বিয়ে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি কঠিন হৃদয়ের মানুষ। কিন্তু একপর্যায়ে অনুপম যখন কল্যাণীকে ফিরে পাওয়ার আশায় তাঁর কাছে মাথা হেঁট করে, হাত জোড় করে, তখন তাঁর হৃদয় গলে যায়।
'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ'
জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন:বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
প্রশ্ন:'শর্মিষ্ঠা', 'পদ্মাবতী' মধুসূদনের কী ধরনের রচনা?
উত্তর : 'শর্মিষ্ঠা' ও 'পদ্মাবতী' মধুসূদন রচিত নাট্যগ্রন্থ।
প্রশ্ন:মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় মৃতু্যবরণ করেন?
উত্তর : কলকাতায় মৃতু্যবরণ করেন।
প্রশ্ন:কুম্ভকর্ণ কে?
উত্তর : রাবণের মধ্যম সহোদর।
প্রশ্ন:রাঘবদাস কে?
উত্তর : বিভীষণ।
প্রশ্ন:রক্ষোরথি বলে সম্বোধন করা হয়েছে কাকে?
উত্তর : বিভীষণকে।
প্রশ্ন: মেঘনাদ ক্ষুদ্রমতি নর বলেছেন কাকে?
উত্তর : লক্ষ্ণণকে।
প্রশ্ন:রাজহংস কোথায় কেলি করে না?
উত্তর : সলিলে কেলি করে না।
প্রশ্ন:দুরাচার দৈত্য কোথায় ভ্রমে?
উত্তর : নন্দন-কাননে ভ্রমে।
প্রশ্ন:মেঘনাদ লক্ষ্ণণকে কোথায় পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন?
উত্তর : মেঘনাদ লক্ষ্ণণকে শমন-ভবনে পাঠানোর কথা বলেন।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়