ব্যালন ডি'অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি-রোনালদো
প্রকাশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
গত ২১ বছরে প্রথমবার ঘটল এমন ঘটনা। ২০০৩ সালের পর এই প্রথম ব্যালন ডি'অরের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাননি চলতি শতাব্দীর দুই শ্রেষ্ঠ ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কেউই। গত বছরের পারফরম্যান্সের আলোকে অনুমিতভাবেই আছেন রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়াস জুনিয়র, জুড বেলিংহাম ও ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হাল্যান্ড।
ফরাসি সাময়িকী 'ফ্রান্স ফুটবল'- এর পুরস্কার ব্যালন ডি'অর ২০২৪ এর ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা বুধবার রাতে প্রকাশ করা হয়। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার ব্যালন ডি'অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি ও রোনালদোর কেউই। মেসি ব্যালন ডি'অর জিতেছেন রেকর্ড আটবার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার রোনালদো। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দুজনের বাইরে কেউ পুরস্কারটি জিততে পারেননি। ২০১৮ সালে জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। আর ২০২০ সালে কোভিডের কারণে পুরস্কারটি দেওয়া হয়নি। এর আগে-পরে দুই বছরে আবার জেতেন মেসি। ২০২২ সালে তা ওঠে তখন রিয়ালে থাকা ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার হাতে। একই বছরে বিশ্বকাপ জিতে ২০২৩ সালে পুরস্কারটি অষ্টমবারের মতো জেতেন মেসি।
মেসি-রোনালদোর না থাকা অবশ্য চমক নয়। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে এখন আর সেরা অবস্থায় নেই তারা। কেউই খেলেন না ইউরোপে। মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব আর রোনালদো আছেন সৌদি আরবের ক্লাবে। মেসির নেতৃত্বে এই বছর আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা জিতলেও তার পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। রোনালদো ইউরো কাপে করেন হতাশ।
অপরদিকে রিয়াল মাদ্রিদকে স্প্যানিশ লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যাম। ব্রাজিল ও ইংল্যান্ডের দুই তারকাই আছেন পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে। ভিনিসিয়াস আর বেলিংহ্যামের নাম থাকাটা প্রত্যাশিত ছিল। অপরদিকে, ম্যানসিটির তারকা হাল্যান্ড গোলের তুবড়ি ছুটিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। একইভাবে বুন্দেসলিগায় গোল করেছেন বায়ার্ন তারকা হ্যারি কেইন। ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি'অর পুরস্কার দেওয়া চালু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এরপর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।
ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি'অর একীভূত হয়েছিল ২০১০ সালে। ফিফার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে আবার একাই ব্যালন ডি'অর দেওয়া শুরু করে ফ্রান্স ফুটবল। তবে এই বছর থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার সঙ্গে একীভূত হয়ে ব্যালন ডি'অর দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা। তাদের সঙ্গে চুক্তির ফলে নিজেদের দেওয়া বর্ষসেরা খেলোয়াড়দের পুরস্কার বাতিল করে দেয় উয়েফা।
ব্যালন ডি'অরের জন্য ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা: জুড বেলিংহ্যাম, রুবেন দিয়াজ, ফিল ফোডেন, ফেদেরিকো ভালভের্দে, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, আর্লিং হাল্যান্ড, নিকো উইলিয়ামস, গ্রানিত জাকা, আর্তেম দোভিক, টনি ক্রুস, ভিনিসিউস জুনিয়র, দানি ওলমো, ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ, মার্টিন ওডেগোর, মাটস হুমেলস, রদ্রি, হ্যারি কেইন, ডেকলান রাইস, ভিতিনিয়া, কোল পালমার, দানি কারভাহাল, লামিনে ইয়ামাল, বুকায়ো সাকা, হাকান কালহানোগলু, উইলিয়াম সালিবা, কিলিয়ান এমবাপে, লাউতারো মার্টিনেজ, অ্যাডেমোলা লুকম্যান, আন্টোনিও রুডিগার ও আলেক্স গ্রিমালেদা।