শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হকির ওস্তাদ ফজলু আর নেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
হকির ওস্তাদ ফজলু আর নেই

বাংলাদেশের হকি অঙ্গনের অতি পরিচিত মুখ ফজলু। হকি খেলোয়াড় গড়ার কারিগর হওয়ায় নামের সঙ্গে যোগ হয় 'ওস্তাদ'। পুরো ক্রীড়াঙ্গন যাকে ওস্তাদ ফজলু হিসেবে চেনে। সেই ফজলু আকস্মিকভাবে সবাইকে ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে।

চোখে আঘাত পাওয়ায় খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি, তাই হকি শেখানোতেই মনোযোগী হয়েছিলেন ফজলুল ইসলাম। পুরান ঢাকার আরমানিটোলা স্কুলের মাঠে শিশু-কিশোরদের হকি শেখাতে শেখাতে তিনি সবার কাছে হয়ে উঠলেন 'ওস্তাদ ফজলু।' হকি অন্তপ্রাণ এই মানুষটি বুধবার ৫৭ বছর বয়সে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে নাদিয়া ইসলামকে রেখে গেছেন ফজলুল।

হকির সংশ্লিষ্টদের কাছে জানা গেছে, অর্থনৈতিকসহ নানা কারণে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ দুঃশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন ওস্তাদ ফজলু। কিন্তু তার এভাবে চলে যাওয়াটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না কোনোভাবেই।

১৯৮৪ সালে মালয়েশিয়ায় জুনিয়র বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে অনুশীলনে ফজলুল আঘাত পান চোখে। এতে তার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যায়। জাতীয় দলে কখনো খেলার সুযোগ মেলেনি তার। ২০০৫ সাল পর্যন্ত ঘরোয়া হকি খেলেন তিনি। খেলোয়াড় হিসেবে চূড়ায় পৌঁছতে না পারা ফজলুল নেমে পড়েন খেলোয়াড় তৈরিতে।

পুরান ঢাকার বেগমবাজার গলির নাবালক লেনে বাড়ির ছাদে, আরমানিটোলা স্কুলের আঙিনায় এক কোণায় শিশু-কিশোরদের শেখাতেন হকি। স্কুলের দেয়ালে তিনি লিখেছিলেন 'ওস্তাদ ফজলুর মুখের বুলি, এসো সবাই হকি খেলি'- এই শ্লোগান। এখানে হকি শিখতে আসা শিশু-কিশোরদের হকিস্টিক থেকে শুরু করে নানা সরঞ্জামও তিনি কিনে দিতেন নিজেই।

দেশের হকির তারকা রফিকুল ইসলাম কামাল, রাসেল মাহমুদ জিমিরা উঠে এসেছেন ফজলুর হাত ধরেই। বলতে গেলে পুরান ঢাকার অধিকাংশ খেলোয়াড়েরই হকিতে হাতে খড়ি ওস্তাদ ফজলুর কাছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে