ক্রেডিট খেলোয়াড়দের : সোহেল

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে এই সাফল্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ। বাংলাদেশ দল যখন টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত, তখন টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে আলাদা করে প্রস্তুতি ক্যাম্প করা হয়েছে। দেশের তিনটি ভেনু্যতেুুু বাংলাদেশ টাইগার্সের কোচ মো. সোহেল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চলে এই অনুশীলন। ওই প্রস্তুতি ক্যাম্পের ফলই হাতেনাতে পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং এবং মানকিতার দুর্দান্ত কম্বিনেশন দেখা গেছে পুরো সিরিজে। দলের সাফল্যে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের নিয়ে মাতামাতি হলেও স্থানীয় কোচদের কথা কেউ বলছেন না। এ নিয়ে অবশ্য আফসোস নেই স্থানীয় কোচ সোহেল ইসলামের। বুধবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে সোহেল ইসলাম বলেছেন, 'দেখেন আমি তো বোর্ডে অনেক দিন ধরে চাকরি করি। আমাদের যেটা কাজ, ওটার মধ্যেই থাকার চেষ্টা করি। ক্রেডিট কে দেবে না দেবে, সেটা তো আমার হাতে নেই। আমার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে যা আছে, সেটা করার চেষ্টা করি।' এই ঐতিহাসিক জয়ের কৃতিত্ব সোহেল নিজে না নিয়ে সবটুকুই দিলেন ক্রিকেটারদের। বললেন, 'এই যে আমরা জিতেছি, পুরো ক্রেডিটটা আসলে ক্রিকেটারদের দিতে চাই। সবসময়ই এসব ট্রেনিং হয়, তবে এবার ছেলেদের মধ্যে ভালো করার তাগিদ ছিল। তারা খুবই বেশি সম্পৃক্ত ছিল। ক্রিকেটাররা সবাই চেয়েছে এবং মুশফিকও চেয়েছে তারা যে জায়গায় আছে, সেখান থেকে কীভাবে আসলে আরও ভালো করা যেতে পারে। যখন অনুশীলনের মধ্যে সবাই সম্পৃক্ত থাকে, তখন আসলে ভালো কিছু হওয়ার থাকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্টে যার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি।' পাকিস্তান সিরিজের আগে করা ট্রেনিং নিয়ে সোহেল বলেছেন, 'বিশ্বকাপের সময় হাথুরু আমাদের একটা প্রস্তুতির নকশা দিয়েছিল। সেই নকশা সংশোধন করে ক্রিকেটারদের নিয়ে ভাগ ভাগ করে প্রথমে সিলেট পরে চট্টগ্রামে, সবশেষ ঢাকায় প্রস্তুতি ক্যাম্প করি। আমাদের ক্রিকেটারদের শেখার ইচ্ছা প্রবল। তারাই অনুশীলনের মধ্য থেকে আমার কাছে নিজেদের টেকনিক্যাল ইসু্য নিয়ে আলোচনা করে। আমি সমাধানের চেষ্টা করেছি। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কাজ করেছি। লাল বলে ওপেনারদের নিয়ে কাজ করেছি, গ্রানাইটে বল খেলিয়েছি।'