এলোমেলো ব্যাটিংয়ে বিব্রতকর রেকর্ড

প্রকাশ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
নতুন বলে পাকিস্তানের বোলারদের সামলানো কঠিন হবে তা আগে থেকে জানা ছিল। কিন্তু প্রথম টেস্টে দারুণ পারফরম?্যান্সের পর বিশ্বাস ছিল টপ অর্ডার ঠিকই প্রতিরোধ গড়তে পারবেন। বিশেষ করে জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম ভালো শুরু দিতে পারলে বাকি পথ মসৃণ হতে পারে। কিন্তু রাওয়ালপিন্ডিতে খুররাম শাহজাদ ও মির হামজার এক স্পেলেই স্রেফ লন্ডভন্ড বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার। ১৪ রানে জাকির হাসনের প্রথম উইকেট হারানোর পর আরও ১২ রান যোগ করতেই বাংলাদেশের সাজঘরে পাঁচ ব্যাটসম্যান। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে পাকিস্তান ব্রেক থ্রু পায়। এরপর ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে মিলে যায় ষষ্ঠ উইকেট। ৩৫ বলের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশের ব?্যাটিং। ২৬ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের যৌথভাবে দ্বিতীয় বাজে শুরু। এর আগে বাংলাদেশ একবারই টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল। সেটাও দুই বছর আগে, ২০২২ সালের এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ডারবানে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পথে শুরুর ৬ ব্যাটসম্যান আউট হন মাত্র ২৬ রানে। এলোমেলো ব?্যাটিংয়ে দুই বছর পর আবার একই দুঃস্মৃতির সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত, শৃঙ্খল বোলিংয়ের সঙ্গে নিজেদের এলোমেলো ব্যাটিংয়ে এমন কিছুর স্বাদ পেতে হলো মুশফিক, সাকিব, শান্তদের। সপ্তম উইকেটে লিটন ও মিরাজ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। মিরাজ ৭৮ রান করে আউট হন। আউট হওয়ার আগে অষ্টম উইকেটে লিটনের সঙ্গে তিনি গড়েছেন ১৬৫ রানের জুটি। যা টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের ব?্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু জাকির হাসানকে দিয়ে। খুররামের লেন্থ বল ফ্লিক করতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ দেন। সাদমান পরের ওভারে এই পেসারকেই খেলতে গিয়ে বোল্ড হন, ফেরেন সাজঘরে। শান্ত উইকেটে আসেন আর ফেরেন। খুররামের ভেতরে ঢোকানো বল মিস করে বোল্ড হন মাত্র ৪ রানে। মুমিনুল মির হামজাকে উইকেট বিলিয়ে আসেন। বাঁহাতি পেসারের দারুণ এক সুইং ডেলিভারিতে মুশফিক ক?্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। বাংলাদেশ সবশেষ হারায় সাকিবের উইকেট। খুররামের বলে এলবিডবিস্নউ হয়ে সাকিব ২ রানে ফেরেন সাজঘরে। ২৬ রানে ৬ষ্ঠ উইকেটে সাকিব আউট হলে সেখান থেকে ১৯১ পর্যন্ত পৌঁছে দেন লিটন-মিরাজ জুটি। মিরাজ আউট হলেও তাসকিন ও হাসান মাহমুদকে নিয়ে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন লিটন দাস।