দীর্ঘ দিন ধরে বয়ে চলা চোটের কারণে আপাতত টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন রশিদ খান। পুরোপুরি সেরে ওঠার আগে তাকে লাল বলে পাবে না আফগানিস্তান। তবে অন্য দুই সংস্করণে খেলতে বাধা নেই অভিজ্ঞ লেগ স্পিনারের। দলের মিডিয়া ম্যানেজার নাসির খান
জানিয়েছেন এই খবর।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে তিনি বলেছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রাথমিক দলে নেই রশিদ। তিনি বলেন, সে (রশিদ) আপাতত টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছে। অনেকদিন ধরে তার একটি চোট সমস্যা রয়েছে। তাই চিকিৎসকরা আপাতত তাকে টেস্ট ক্রিকেট না খেলার পরামর্শ দিয়েছে। আমরা জানি না, তার অনুপস্থিতির মেয়াদ
\হএক বছরের জন্য কি না। এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হলো, সে কিছু সময়ের জন্য বাইরে থাকবে,
যত দিন না পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে।
চিকিৎসকের সবুজ সংকেত পাওয়ার আগে সে টেস্ট খেলবে না।
আমরা এখনই বলতে পারব না, ঠিক কত দিনের জন্য সে বাইরে।'
২০২১ সালের মার্চের পর আর টেস্ট খেলেননি রশিদ। এখন পর্যন্ত পাঁচ
\হটেস্টের ৯ ইনিংসে চারবার ৫ উইকেটসহ তার শিকার ৩৪ উইকেট। ব্যাট হাতে একটি ফিফটি করেছেন দুই টেস্টে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া
লেগ স্পিনার। গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পিঠের অস্ত্রোপচার
করানো হয় রশিদের। এরপর প্রায় চার মাস মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি।
তখন আফগানিস্তানের হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, শ্রীলংকা, আয়ারল্যান্ড সিরিজের পাশাপাশি বিগ ব্যাশ ও এসএ টি-২০ খেলতে
পারেননি সময়ের সেরা লেগ স্পিনারদের একজন।
ওই অস্ত্রোপচারের থেকে শুধু টি-২০ ক্রিকেট খেলছেন রশিদ। আইপিএল,
টি-২০ বিশ্বকাপের পর মেজর লিগ ক্রিকেট, দা হান্ড্রেড ও আফগানিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট শাপাগিজা ক্রিকেট লিগও খেলেছেন। এই সময়ও অবশ্য পুরোপুরি চোটমুক্ত ছিলেন না তিনি। হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় দা হান্ড্রেডের শেষ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে। পরে দেশে ফিরে শাপাগিজা লিগ খেলার সময় পিঠের সমস্যা ফিরে আসায় দলের ৮ ম্যাচের মধ্যে শুধু ৩টি খেলতে পারেন রশিদ।এখন ওই একই সমস্যায় টেস্ট থেকে বিশ্রাম নিতে বাধ্য হলেন রশিদ। সামনেও রয়েছে ব্যস্ত সূচি। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলবে আফগানিস্তান। ওই
সিরিজে রশিদকে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।