অবসর নিলেন গতিময় ক্যারিবিয়ান পেসার গ্যাব্রিয়েল
প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই খেলার বাইরে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ৩৬ পেরুনো ডানহাতি পেসার আগে একাধিকবার ঘুরে দাঁড়ালেও এবার আর হাল ছেড়ে দিলেন, লম্বা করলেন না ক্যারিয়ার। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
থেকে বিদায় বলে দিলেন তিনি।
ইন্সটাগ্রামে বুধবার রাতে ইতি টানার কথা জানান স্মরণীয় অনেক স্পেলের নায়ক গ্যাব্রিয়েল, 'আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে গত ১২ বছর ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালোবাসার খেলাটা খেলেছি, সর্বোচ্চ পর্যায়ে আনতে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছি। কিন্তু সব ভালো জিনিসই একটা সময় গিয়ে থেমে যায়। আজ আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আমার অবসর ঘোষণা করছি।'
গ্যাব্রিয়েল ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৮৬টি। সেখানে অর্ধেকেরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন টেস্ট অঙ্গনে। লাল বলের ক্রিকেটে সমীহ জাগানো বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। যার টেস্ট অভিষেক ২০১২ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু তিনি নিজেকে চেনাতে পেরেছেন ৬ বছর পর বিপক্ষে। ২০১৮ সালের ওই টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা ৬২ রানে ৮ উইকেট শিকার করেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ১৩ উইকেট। যা কোনো ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলারের চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার। তার আগে রয়েছেন মাইকেল হোল্ডিং (১৪/১৪৯), কোর্টনি ওয়ালশ (১৩/৫৫) ও গুদাকেশ মোটি (১৩/৯৯)।
গ্যাব্রিয়েল ১২১ রানে নেন ১৩ উইকেট।
২৫টি ওয়ানডে আর দুটি টি২০ খেললেও গ্যাব্রিয়েল মূলত ছিলেন টেস্টের বোলার। লাল বলে ৫৯ ম্যাচ খেলেছেন তিনি, নিয়েছেন ১৬৬ উইকেট। বাকি দুই ফরম্যাটে আছে আরও ৩৬ উইকেট। পরিসংখ্যান দিয়ে অবশ্য গ্যাব্রিয়েল প্রভাব বোঝানো যাবে না। একদম নিষ্প্রাণ উইকেটেও এই পেসার তুলতে পারতেন গতির ঝড়। ব্যাটারদের কাঁপুনি ধরানো স্পেলে বদলে দিতে পারতেন ম্যাচের চিত্রপট। ২০১৭ সালে আইসিসি টেস্টর্ যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে উঠে আসেন তিনি। তার হাত ধরে সেসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় অনেকগুলো জয়।
২০১৮ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৮ উইকেট। ম্যাচে ১২১ রানে ১৩ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ২০১৭ সালে বার্বাডোজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়ে ছিলেন। উচ্চতা ও পেশিবহুল শরীর দিয়ে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে আসতেন তিনি। চোটের কারণে গত বছর জুলাই থেকে খেলার বাইরে আছেন। ভারতের বিপক্ষে জুলাইতে পোর্ট অব স্পেনে ম্যাচটাই হয়ে থাকল তার শেষ টেস্ট।