২০১২-১৩ মৌসুমের পর আর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেনি ভারত-পাকিস্তান। ভারত পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে গিয়েছিল আরও অনেক আগে; ২০০৮ সালে। মাঝখানে পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ হয়ে ফের পুরোদমে খেলা শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের মাটিতে হয়েছে এশিয়া কাপের আসর। আগামী বছর দেশটিতে বসবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। কিন্তু ভারতের খেলোয়াড়রা এশিয়া কাপ খেলতেও পাকিস্তানে যায়নি। বাধ্য হয়ে হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে হয়েছে টুর্নামেন্ট। আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে ভারত আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে কিনা তা নিয়েই আছে সন্দেহ।
গত বছর পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ খেলতে রাজি না হওয়ায় ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজন করতে হয়েছিল শ্রীলংকায়। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও শেষ পর্যন্ত একই পথে হাঁটতে হতে পারে। পাকিস্তান সফরে ভারতীয় দলের অনিচ্ছার পেছনে কারণ হিসেবে নিরাপত্তা ইসু্যর কারণে ভারত সরকারের আপত্তির কথাই বলা হয় বারবার।
তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ। সম্প্রতি জয় শাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার চেয়ারম্যান হওয়ার পথে পাকিস্তান বাধা দেয়নি। ফলে পাকিস্তানে ভারতের খেলা নিয়ে আশাবাদী হয়েছেন রশিদ।
তিনি বলেন, 'পিসিবি কোনো একটা কারণে জয় শাহর বিরোধিতা করেনি। আমার মনে হয়, একটা বোঝাপড়া হয়েছে। ভারত যদি পাকিস্তানে আসে, সেটা জয় শাহর প্রচেষ্টায় আসবে, সঙ্গে সরকারের সমর্থনও থাকবে। অর্ধেক অনুমোদন এরই মধ্যে হয়ে গেছে। ভারত পাকিস্তানে আসবে।'
জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ায় আশাবাদী পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইউনুস খানও। তার মতে, জয় উদ্যোগী হলে আগের মতো ভারত-পাকিস্তান সফরও শুরু হতে পারে। তিনি বলেন, 'জয় শাহ আইসিসির প্রধান হওয়ায় ক্রিকেটের উন্নতি হওয়া উচিত। তাকে অবশ্যই খেলোয়াড়দের মানসিকতা বুঝতে হবে। আইসিসির প্রধান হিসেবে তিনি উদ্যোগ নিলে ভারত পাকিস্তানে আসতে পারে। একইভাবে পাকিস্তানও ভারতে যেতে পারবে।'