সাত বছর কাটিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছিলেন বার্সেলোনার একাডেমী লা মাসিয়ায়। কিন্তু ক্লাবটির হয়ে সিনিয়র পর্যায়ে খেলতে পারেননি দানি ওলমো। এর আগেই ছাড়তে হয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। ১০ বছর পর ফিরলেন সেই ক্লাবে। আর প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক সেই ওলমো। এমন অভিষেকের স্বপ্নই দেখেছিলেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
মঙ্গলবার রাতে রায়া ভালকানোর মাঠে লা লিগার ম্যাচে স্বাগতিকদের ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের নবম মিনিটেই উনাই লোপেজের গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। সেই গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন ওলমো। এরপর বদলে যায় ম্যাচের গতিপথ। ৬০ মিনিটে পেদ্রি সমতা ফেরানোর পর ৮ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন ওলমো।
অভিষেকেই ম্যাচ জয়ের নায়ক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত ২৬ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার,' ম্যাচটি যেভাবে শেষ হলো এবং যেভাবে জিতলাম আমরা, আমি সত্যিই খুবই খুশি। আমার জন্য এটি স্বপ্নের অভিষেক। এই মুহূর্তটির অপেক্ষা করছিলাম অনেক দিন ধরেই এবং অবশেষে আজকে দিন এসেছে। খুব ভালো লাগছে। দলকে সহায়তা করতে পেরে ভালো লাগছে এবং নিজে গোল করতে পারা তো আরও ভালো ব্যাপার। এর চেয়ে ভালো অভিষেক আর হতে পারে না।'
এবারই বার্সায় অভিষেকটা আরও আগেই হতে পারতো ওলমোর। আড়াই সপ্তাহ আগে যোগ দিলেও লা লিগার 'ফিনান্সিয়াল ফেয়ার পেস্ন'র জটিলতায় নিবন্ধন করাতে পারছিল না বার্সা। শেষ পর্যন্ত আন্দ্রেয়াস ক্রিস্তেনসেনের চোটে সেই সুযোগটা করে দেয় ক্লাবটিকে।
আর ফিরেই জয়ের নায়ক হতে পারায় উচ্ছ্বাস যেন থামছে না ওলমোর,' অবশ্যই আমার স্বপ্ন ছিল একদিন এই ক্লাবে ফেরার। বার্সেলোনা যখন নক করে, আমার কোনো সংশয়ই ছিল না যে এখানে ফিরতে চাই। ফিরতে পেরে সত্যিই খুশি। (নিবন্ধন নিয়ে) ক্লাবের ওপর আমার ভরসা ছিল। শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম যেন সুযোগটি এলেই নিতে পারি। আজকে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পেরেছি। যেভাবে সবকিছু হয়েছে, সত্যিই উচ্ছ্বসিত আমি। জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য।'
আর ওলমোর এমন অভিষেকে উচ্ছ্বসিত কোচ হান্সি ফ্লিকও, 'বার্সেলোনার হয়ে খেলতে ও গোল করতে অনেক দিন ধরে অপেক্ষায় ছিল সে। আপনারা দেখেছেন, সে মাঠে নামার পর আমাদের বলের নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি ছিল। সত্যিই ভালো ছিল এটা। সে বল পায়ে রাখতে জানে এবং গোলমুখেও সে দুর্দান্ত। কীভাবে গোল করতে হয় জানে। একজন মিডফিল্ডারের জন্য অবশ্য এই ধরনের গুণ থাকতেই হয়। সে এসবে সত্যিই খুব ভালো।'