নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে মরিয়া আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিব খানের দাবি, নিরাপত্তাসহ সার্বিক পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে তাদের দেশে।
অনেকটা সময় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চললেও ধীরে ধীরে ঝলক দেখাতে শুরু করেছে আফগানিস্তান। বিশেষ করে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ থেকে এক নতুন চেহারায় আবির্ভূত হয়েছে দলটা। মোহাম্মদ নবী, রহমানউলস্নাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউলস্নাজ ওমরজাই, হাশমতউলস্নাহ শহীদী, ফজল হক ফারুকী, মুজিব উর রহমানদের সমীহ করছে বিশ্বের সব দল। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে তারকাখ্যাতির চূড়ায় লেগস্পিনার রশিদ খান।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হটকেক রশিদ খেলছেন চলমান স্পেগিজে ক্রিকেট লিগে। আফগানিস্তানের লোকাল লিগে তার অংশগ্রহণ যেন নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে। নাসিব খান বলেন, 'ঘরোয়া ক্রিকেটে রশিদ খানের অংশগ্রহণকে আমরা খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছি। আমার মনে হয়, এটা আফগানিস্তানের নিরাপত্তার উন্নতি ও শান্তির বার্তা দেয়।'
কখনোই কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি আফগানিস্তানে। ২০২১ সালে নতুন করে তালেবান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর হুমকির মুখে পড়ে ক্রীড়াঙ্গন। দেশ ছেড়ে পালাতে থাকেন অনেক স্পোর্টসপারসন। ক্রিকেটে উন্নতি করতে থাকা দলটার নিজ দেশে প্রথমবারের মতো খেলার স্বপ্নও যেন দূরে সরে যেতে থাকে। কখনো ভারত, আবার কখনো তাদের হোম ভেনু্য সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আর যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়াতে চান না আফগানরা। ধীরে ধীরে খেলার জন্য পরিবেশ তৈরির চেষ্টায় তারা। নাসিব খান বলেন, 'কাবুল থেকে বেশ দূরের কুন্দুজ প্রদেশে জাতীয় দলের প্রায় ২০ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে স্পেগিজে ক্রিকেট লিগের আগে আমরা একটা লিস্ট 'এ' ইভেন্ট করেছি। এই দুই ইভেন্টেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পেরেছি। আমার মনে হয়, আফগানিস্তানে বিদেশি ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানাতে আর বাধা নেই।'
রশিদ-নবীদের দেশে ক্রিকেট প্রতিভার ছড়াছড়ি। এ কারণেই আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে ইতিবাচক আইসিসিও। যদিও তার আগে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে আফগানদের। পূর্ণাঙ্গ আস্থা অর্জন করতে হবে ক্রিকেট বিশ্বের।